তৃণমূলে দুর্নীতির বাসা, আম্ফানের তাণ্ডবে মুখোশ খুলে যাচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের
আম্ফান তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে ব্যাপক। একইসঙ্গে চলছে দুর্নীতিও। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নামে দুর্নীতি ঢুকেছে তৃণমূলের অন্দরে। প্র
আম্ফান তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে ব্যাপক। একইসঙ্গে চলছে দুর্নীতিও। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নামে দুর্নীতি ঢুকেছে তৃণমূলের অন্দরে। প্রকৃত যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের নাম বাদ দিয়ে এমন সব নাম ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় রয়েছে, তা দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে।
তালিকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা
হাওড়ার পাঁচলায় সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একই পরিবারের ছ-জনের নাম রয়েছে ক্ষতিপূরণের তালিকায়। তার মধ্যে রয়েছেন একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও। ওই পরিবারের এক বধূ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। আর এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই এমন অনেকে আছেন, যাঁদের প্রকৃত অর্থেই ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের নাম নেই তালিকায়।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা
এর ফলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিরোধীদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পায়নি। তৃণমূল নিজেদের লোককে শুধু টাকা দিয়েছে। যাঁদের পাকা দোতলা বাড়ি, তৃণমূল পার্টি করে তাঁরাই টাকা পেয়েছেন। আর পেয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। এই তো রাজ্যের শাসক দলের হাল।
ক্ষতিপূরণের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ৭০ জনের নাম পাঠানো হয়। তাঁদের অধিকাংশেরই কোনও ক্ষতি হয়নি। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, শুধু সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয়, পাঁচলা ব্লকজুড়েই তৃণমূল এই কীর্তি করে গিয়েছে। শুধু নিজেদের উদরপূর্তি করেছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা কোনও টাকা-পয়সা পায়নি। তাঁদের নামও পাঠানো হয়নি। বিজেপির দাবি, ক্ষতিপূরণের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
প্রশাসন তৎপর, এলাকায় তদন্ত করে ব্যবস্থা
অভিযোগ মেনে নিয়েই পাঁচলা ব্লকের বিডিও এষা ঘোষ বলেন, আমাদের টিম এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যাঁদের কোনও ক্ষতিই হয়নি, অথচ টাকা নিয়েছে ক্ষতিপূরণের তাঁদের কাছ থেকে টাকা ফেরতও নেওয়া হচ্ছে। সেই টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসন তৎপর হয়েই এই কাজ করবে।