তৃণমূলের ভোটে আমন্ত্রণ কংগ্রেস-সিপিএমকে! বিজেপি ব্রাত্যই রয়ে গেল, এ কেমন সমীকরণ
তৃণমূলের ভোটে আমন্ত্রণ কংগ্রেস-সিপিএমকে! বিজেপি ব্রাত্যই রয়ে গেল, এ কেমন সমীকরণ
রাত পোহালেই ভোট তৃণমূলে। সেই ভোটে আবার আমন্ত্রিত সিপিএম ও কংগ্রেস। কিন্তু আমন্ত্রণ নেই বিজেপির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই আমন্ত্রণে অন্য সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছে। যদি তৃণমূলের ভোটে কংগ্রেস ও সিপিএমকে আমন্ত্রণ সৌজন্যই হবে, তবে কেন নয় বিজেপি? এই প্রশ্নেই নতুন সমীকরণের আভাস পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
বিরোধী দলের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ তৃণমূলের
বুধবার তৃণমূলের সাংগঠনিক ভোট। প্রায় হাজার দেড়েক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কোভিড বিধি মেনে সাংগঠনিক রদবদল হবে। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএমকে। নিজেদের দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের বিরোধী দলের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চমক দিল তৃণমূল। এখন দেখার সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রতিনিধিরা কেউ হাজির হন কি না!
বিমান বসুকে ফোনে ধরার চেষ্টা তৃণমূলের
শুধু সিপিএম বা কংগ্রেসই নয়, তৃণমূলের এই সাংগঠনিক নির্বাচনে ডাকা হয়েছে এসইউসি-কেও। কিন্তু ডাক পড়েনি বিজেপির। বিজেপির সদর দফতরে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও ফোন যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বিমান বসুকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোন পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে ফের চেষ্টা করা হবে যোগাযোগ করার।
কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ
তৃণমূলের তরফে ফোন করা হয়েছিল কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিলেন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে। কিন্তু প্রদীপবাবু বাজেট অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন। তাই তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে সৌজন্যের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলকে।
সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনের প্রদর্শন
আদতে তৃণমূল দেখাতে চাইছে তৃণমূলে কতটা গণতান্ত্রিক পরিসর রয়েছে। সেইমতো সর্বসমক্ষে সাংগঠনিক নির্বাচন করে তাঁরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ বা পরিসর দেখানোই তৃণমূলের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে কেন ডাকা হল না বিজেপিকে। এই মুহূর্তে রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাঁদের সামনে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনের প্রদর্শন তো আরও বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন হত।
বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের পর যখন বিক্ষোভ
সম্প্রতি বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে জেলা থেকে রাজ্যস্তরের ডাকসাইটে বহু নেতা। তার মধ্যে শামিল যেমন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, রয়েছে প্রাক্তন সহ সভাপতি-সহ অন্যান্য পদাধিকারীরাও। রয়েছেন বহু বিধায়ক ও জেলা স্তরের নেতা-নেত্রীরাও।
বিজেপি বিরোধিতায় কোনও ছুৎমার্গ নেই তৃণমূলের
এই অবস্থায় তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হতে চলেছে বুধবার। এবার এই নির্বাচনে সংবাদমাদ্যমের অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। কেননা সবাইকে দেখাতে চাইছে তৃণমূল, তাঁরা দেখাতে চাইছেন কতটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে তৃণমূলে। একইসঙ্গে এই সৌজন্যের আমন্ত্রণে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, বিজেপি বিরোধিতায় তাঁদের কোনও ছুৎমার্গ নেই। কংগ্রেস তো বটেই সিপিএমের সঙ্গেও তারা মঞ্চ শেয়ার করতে রাজি।