বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলায় ‘বাংলার গর্ব’ই ভরসা! মনীষীদের মূর্তি গড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘বাংলার গর্ব’ দিয়ে বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির হিন্দু্ত্ব অ্যাজেন্ডার বিরোধিতায় এবার বাংলায় মনীষীদের মূর্তি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'বাংলার গর্ব' দিয়ে বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির হিন্দু্ত্ব অ্যাজেন্ডার বিরোধিতায় এবার বাংলায় মনীষীদের মূর্তি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বাঙালি আইকনদের মূর্তি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচনের আগে।
বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলায়
রাজ্যে ২০২০-তে পুরসভা নির্বাচন হবে। তার আগে ধর্মীয় তাস ফেলে হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডা নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে নামার প্রস্ততি শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির সেই হিন্দুত্ব তাসকে উপড়ে ফেলতে তৃণমূল কংগ্রেস মনীষীদের শরণ নিল। মনীষীদের মূর্তি গড়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল।
মিনি বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১০৭টি পুরসভা ও কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনকে মিনি বিধানসভা নির্বাচন হিসাবে দেখতে চাইছে তৃণমূল হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে মনীষীদের গর্বকে পাথেয় করে লড়তে চাইছে। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা বলেন, আমরা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলার মহান ব্যক্তিত্বের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাংলায় মনীষীদের মূর্তি স্থাপন
বহু শতাব্দী ধরে ভারত তথা বাংলা ধর্মনিরপেক্ষতার ধারক হয়ে রয়েছে। তাই বাংলায় মনীষীদের মূর্তি স্থাপন করে তাদের বার্তা মূর্তির ফলকে লিপিবদ্ধ করা হবে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংস থেকে স্বামী বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায় থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর- কিংবদন্তি মনীষীদের মূর্তি এই রাজ্যকে স্বতন্ত্র করে তুলবে।
মূর্তি স্থাপন অভিনেতা-খেলোয়াড়দেরও
সেইসঙ্গে উত্তম কুমার, সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটকের মতো বাংলার আইকনের মূ্র্তি, বিপ্লবীদের চিত্রকর্ম এবং গোষ্ঠ পাল এবং শৈলেন মান্নার মতো ফুটবলারদেরও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন স্থাপন করা হবে। টিএমসি নেতা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র উত্তর কলকাতায় ৩০টিরও বেশি নতুন মূর্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিজেপির আগ্রাসী হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডা প্রতিহত করতে
বিজেপির আগ্রাসী হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডা প্রতিহত করার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এটি আমাদের বিউটিফিকেশন অভিযানের একটি অংশ। একইসঙ্গে আমরা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক সংস্কার এবং সর্বজনীনতার বার্তাও ছড়িয়ে দিতে চাই যে আমাদের রাজ্যের এই নামী ব্যক্তিরা গর্বিতচ করেছিলেন বাংলাকে।