শোভন কি ফের তৃণমূলমুখী হবেন! জল্পনা বাড়িয়ে ‘স্পিকটি নট’ থাকার নিদান রত্নাকে
শোভন কি ফের তৃণমূলমুখী হবেন! জল্পনা বাড়িয়ে ‘স্পিকটি নট’ থাকার নিদান রত্নাকে
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপাতত স্পিকটি নট তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী রত্না চট্টোপাধ্যায়কেও নীরব থাকতে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু কেন হঠাৎ এই অবস্থা নিল তৃণমূল কংগ্রেস? তবে কি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের? তিনি কি আবার তৃণমূলমুখী হতে পারেন- এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
আগ বাড়িয়ে শোভনকে উত্যক্ত করতে চাইছে না তৃণমূল
বিজেপি বলছে, তাদের সঙ্গে সুরে সুর মেলাতে পারছেন না শোভন ও বৈশাখী। তাই তাঁরা বারেবারে বাধ সাধছেন। আর তৃণমূল আগ বাড়িয়ে শোভনকে উত্যক্ত করতে চাইছে না। এই দুই পার্টির দুই অবস্থানে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জল্পনা চলছে। যদিও শোভন-বৈশাখী ঠিক করেছেন আগামী সপ্তাহে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা আত্মপ্রকাশ করবেন।
শোভন-বৈশাখী জুটিকে নিয়ে ধীরে চলে নীতি তৃণমূলের
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূল ধীরে চলে নীতি নিয়েছে যখন, তখন নিশ্চয় অন্য কোনও কারণ রয়েছে। হয়তো দেখতে চাইছে ভোটের আগে যদি সমীকরণ কিছু বদলায়। বিজেপি কিন্তু শোভনের অনুপস্থিতির পর একের পর এক বৈঠক করে শোভন-বৈশাখী জুটিকে সক্রিয় করতে চাইছে। বৈশাখীও ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
রত্নাকে মুখে কুলুপ আঁটতে বলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব
শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই বিজেপির সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। আর খুবই স্বল্পস্থায়ী। এই ভালো তো এই খারাপ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা সম্ভবত বিজেপির সঙ্গে শোভনের সম্পর্কের ইতিহাস নজরে রেখেই রত্নাকে মুখে কুলুপ আঁটতে বলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল দেখতে চাইছে, কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
রত্না বলেছিলেন, শোভন না আঁচালে বিশ্বাস নেই
শোভন-বৈশাখীর ওই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়ায় রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। যখন ফ্ল্যাট থেকে নেমে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে গাড়িতে উঠবেন, তখন বুঝতে পারব উনি শুরু করলেন। এর আগে তো অনেক নাটক দেখেছি। এই করা হল না, ওই করা হল না। পদ দিল না, আমাকে পদ দিল, বৈশাখীকে দিল না। এভাবেই তো কেটে গেল দেড়-দুবছর।
রত্নার কথা মিলিয়ে শোভন মিছিলে যোগ দেননি
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি রত্না। তিনি বলেছিলেন, ওঁকে বেহালার আসতে অনুরোধ করুন। বেহালায় এলে ওঁকে স্বাগত জানাতে পারতাম। শেষপর্যন্ত রত্নার কথাই মিলে যায়। শোভন আর মিছিলে যোগ দেননি। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। এরপর অবশ্য তৃণমূল রত্নাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন।
শোভন সম্পর্কে নীরব থেকেছে তৃণমূল নেতৃত্বও
তৃণমূলের এই অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই জল্পনা তীব্রতর হয়েছে। শোভন-বৈশাখী পর্বে দল রত্নীর পাশেই থেকেছে। শোভনের ছেড়ে যাওয়া যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিয়েছে রত্নার হাতে। তৃণমূল এই প্রথমবার শোভনকে নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করে দিল রত্নাকে। শোভন সম্পর্কে নীরব থেকেছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তাহলে কী ঘটতে চলেছে অন্দরে।
মুকুলের লেগেছিল তিন বছর, শুভেন্দু ১৮ দিনেই পেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর পদমর্যাদা