একুশে ফের বড়সড় যোগদানের চমক! বিজেপিকে হারানোর মাস্টারপ্ল্যান দেবেন মমতা
একুশে ফের বড়সড় যোগদানের চমক! বিজেপিকে হারানোর মাস্টারপ্ল্যান দেবেন মমতা
প্রতিবারই একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক শহিদ সমাবেশে কেউ না কেউ যোগদান করেন। একটা না একটা চমক দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলার সমাবেশে আগামীর বার্তা দেন। কিন্তু এবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ হবে একেবারেই অন্যরকম। তবু তৃণমূলের চমক নিয়ে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল চমকের যোগদান নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা তৃণমূলে ফিরছেন হেভিওয়েট
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য নিশ্চিত করেনি আদৌ কোনও চমকের যোগদান হবে কি না একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে। সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু পোস্টের বন্যা বয়ে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকা সক্রিয়, এবারও সেরকম একটা জমকালো চমক থাকছে। প্রচার চলছে তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন হেভিওয়েট নেতা।
হেভিওয়েট নেতার ঘরওয়াপসি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা
উত্তর ২৪ পরগনার এক তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরা এই প্রচার চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁদের প্রচার-জল্পনা, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া হেভিওয়েট নেতার ঘরওয়াপসি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভাতেই সেই চমক দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রটনা শুরু হয়েছিল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে
এবার একুশে জুলাইয়ের আগে চর্চা চলছে- সেই চমকের নাম কী? তবে কি মুকুল রায়ই সেই নেতা। কেননা সম্প্রতি মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। তিনি সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে রটনা হয়েছিল। একই রটনা শোনা গিয়েছিল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে।
সব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন মুকুল রায়
যদিও মুকুল রায় তা অস্বীকার করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন তৃণমূলকে ভাবতে হবে না আমাকে নিয়ে। ওসব রটনা চলছে। তিনি বিজেপিতেই আছেন। এবং ভালো আছেন। কোনওরকম দূরত্ব তৈরি হয়নি। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠকও হয়নি। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এইসব রটনা চালাচ্ছে।
মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়েও রটনা
শুভ্রাংশু সম্প্রতি এক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হতেই, সেই জল্পনার পারদ চড়ে যায়। তবে শুভ্রাংশু নিজে জানিয়েছেন, এসব নিছকই রটনা। তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক হয়নি কোনও তৃণমূল নেতার। তৃণমূলও এসব নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেনি।
তবু চর্চায় মুকুল ও শুভ্রাংশও
এসব নিয়ে প্রশ্নের মাঝেই চর্চা চলছে, মুকুলের অনুগামী বা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সব্যসাচী দত্ত, সৌমিত্র খান বা দুলাল বর, যাঁরা তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁরা বর্তমানে বঙ্গ বিজেপিতে পদ পেয়েছেন। কিন্তু তিনি ব্রাত্য রয়ে গিয়েছেন। দল তাঁকে শুধু ব্যবহার করছে নির্বাচনের জন্য। মুকুলের পাশাপাশি শুভ্রাংশুকে নিয়ে জল্পনা চলছে।
ভিত্তিহীন গুজব রটিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা
বঙ্গ বিজেপির একটি অংশ মনে করে, মুকুলের দল ছাড়ার কথা তাঁর শিবির থেকে চাপ তৈরি করতে খাওয়ানো হচ্ছে। বিজেপির এক নেতা বলেছেন, মুকুল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের জানিয়েছেন যে তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে যেসব রটনা হচ্ছে তা গুজব ছাড়া কিছু নয়। এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই। সস্তার প্রচারের জন্য তৃণমূল এসব করে বেড়াচ্ছে।
এবার অন্য একুশে, ২০২১-এ মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আরও বড় সমাবেশের বার্তা মমতার