‘মন্ত্রী’ই স্থান পেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিতে! একুশের আগে ফের বিজেপি-যোগের জল্পনা
‘মন্ত্রী’ই স্থান পেলেন না তৃণমূলের কমিটিতে! একুশের আগে ফের বিজেপি-যোগের জল্পনা
খোদ মন্ত্রীরই স্থান হল না তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিতে। বর্তমানে তিনি প্রাক্তন, তবে দলের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন তিনি। গোষ্ঠীকোন্দলে সেই হেভিওয়েট নেতা তথা প্রাক্তনমন্ত্রীর স্থান হল না জেলা কমিটিতে। তা নিয়ে শুরু তুমুল জল্পনা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে আগে ফের একবার দলবদলের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে এই ঘটনায়।
তৃণমূলের কমিটিতে নেই প্রাক্তনমন্ত্রী
সম্প্রতি মালদহ জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে। মালদহ জেলার তৃণমূল সভাপতি মৌসম বেনজির নুর জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। সেই জেলা কমিটিতে ৭৬ জনের নাম ঘোষণা হয়। কিন্তু সেই ৭৬ জনের তালিকায় ছিল না প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর নাম। এর ফলে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে দলের অ্ন্দরে।
তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে কুলুপ
তবে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী নিজে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও মুখে কুলুপ এঁটেছে। দীর্ঘ পরিকল্পনার পর এদিন জেলা কমিটি ও ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটি প্রলম্বিত করা হলেও কোন প্রাক্তন মন্ত্রীর স্থান মিলল না, সে ব্যাপারে অবশ্য কোনও কারণ দর্শায়নি দল।
মমতা-পিকের নিষেধ সত্ত্বেও
দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর বারবার ধরে বলছেন, দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত নয়। কিন্তু সমানে গোষ্ঠীবাজি চলছে তৃণমূলে। কোনও ওষুধই কাজ করছে না এই অসুখে। ফলে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমস্যা বাড়ছে তৃণমূলের।
জেলা কমিটির বহর বৃদ্ধি, তবু...
এদিন মালদহ জেলা কমিটি ছাড়াও ১৫টি ব্লক কমিটি ও দুটি শহর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা কমিটিতে ১৬ জন নতুন মুখ এসেছেন। জেলা কমিটির বহর বাড়লেও ব্লক কমিটিগুলি ছোট করা হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে ব্লক কমিটিও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
কৃষ্ণেন্দু বনাম নিহার, বিতর্ক চলছেই
কৃষ্ণেন্দুনারাযণ চৌধুরীর জেলা কমিটিতে স্থান না পাওয়া নিয়ে একাংশের ব্যাখ্যা, তিনি রাজ্য সম্পাদক। তাই তাঁকে জেলা কমিটিতে রাখা হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রশান উঠেছে বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষও তো রাজ্য সম্পাদক, তিনি কেন জেলা কমিটিতে আছেন! বিতর্ক থামছে না কিছুতেই!
প্রশান্ত কিশোর কি হারিয়ে দিচ্ছেন মুকুলকে! একুশের আগে কেন তিনিই নিশানা বিজেপির