তৃণমূল কংগ্রেস শক্তি বাড়াল বামেদের গড়ে, একুশের আগে শতাধিক পরিবারের দলবদল
বাম আমলের ৩৪ বছরে লালে লাল ছিল উত্তর দিনাজপুর। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্তও এখানে বামেদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ জানাতে পারত কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রিয়রঞ্জন ছাড়া বাকিটা লালে লাল।
বাম আমলের ৩৪ বছরে লালে লাল ছিল উত্তর দিনাজপুর। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্তও এখানে বামেদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ জানাতে পারত কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রিয়রঞ্জন ছাড়া বাকিটা লালে লাল। সেই উত্তর দিনাজপুরে ২০১৬ সালে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছিল তৃণমূল, তারপর এখন বিজেপির রাজ। এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল শতাধিক পরিবার।
শতাধিক পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে
২০১৬-র পর থেকেই বাম শিবিরে ফাটল দেখা দিচ্ছে। সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপিতে ভাঙন ধরেছে। এখনও সেই ধারা অব্যাহত। সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে উত্তর দিনাজপুরে শতাধিক পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিল।
উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল শক্তি বাড়াল
উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া অঞ্চলে এই দলবদল হয়। রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। এই যোগদানের ফলে উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল শক্তি বাড়াল। ২০২১-এর আগে বিজেপিকে হারাতে সংগঠন বাড়ানোই এখন লক্ষ্য তৃণমূলের।
পাঁচ শতাধিক কর্মীকে নিয়ে বিশেষ পথসভা
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে দলীয় কার্যালয়ে এদিন ৫০০-র বেশি মানুষ জমায়েত হন। তৃণমূল দূরত্ববিধি মেনে যোগদান করার বার্তা দিলেও, তার বিপরীত ছবি ধরা পড়ে এদিন। এই যোগদান পর্বের পর পাঁচ শতাধিক কর্মীকে নিয়ে বিশেষ পথসভার আয়োজন করা হয়।
আসন্ন ২০২১ নির্বাচনের আগে শক্তিবৃদ্ধি
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে জয়লাভ করেছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একেবারে তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। অথচ বিগত ২০১৪-র লোকসভায় এখানে সামান্য ব্যবধানে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। এখন তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি এখানে শক্তিশালী। আসন্ন ২০২১ নির্বাচনের আগে তাই তৃণমূল বিজেপিকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে।