বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক, রদবদলই শক্তি বাড়ানোর রসদ একুশের আগে
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক, রদবদলই শক্তি বাড়ানোর রসদ একুশের আগে
কোচবিহারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন শতাধিক কর্মী। শনিবার শতাধিক কর্মীর যোগদানে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি হয় এই জেলায়। সম্প্রতি এই জেলায় সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন পার্থপ্রতীম রায়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই তৃণমূল কামব্যাক করছে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান
কোচবিহার দু-নম্বর ব্লকের ধাংডেদুরি এলাকার শতাধিক কর্মী জেলা পার্টি অফিসের সামনে এক অনুষ্ঠানে এসে যোগ দেন তৃণমূলে। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক যোগদানকারী কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। জেলা নেতৃত্বের মতে, এই যোগদানে আসনে তাঁদের ঘরওয়াপসি হল।
ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি
তৃণমূল জানিয়েছে, এঁদের একটি অংশ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরে বিজেপিতে গিয়েছিল। তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। গত কয়েকমাসে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী কোচবিহার জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিজেপি ও অন্য বিরোধী দল ছেড়ে।
বিজেপির মধ্যে সংঘাত ও অবিশ্বাসেই দলবদল!
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দাবি করেছে, সক্রিয় এই পার্টি কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন যে, কেবল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারেন। বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি মর্যাদা রাখতে পারবেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দাবি করেছেন, একই সঙ্গে বিজেপির মধ্যে সংঘাত ও দলের নেতাদের উপর অবিশ্বাস তাদের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার অন্যতম কারণ।
তৃণমূলে দলবদল বেশি হচ্ছে বিজেপির তুলনায়
করোনাকালেও দলবদল এক অন্যমাত্রা নিয়েছে এ রাজ্যে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার প্রবণতাই বেশি বাংলায়। তবে উল্টোটাও হচ্ছে। অর্থাৎ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে তৃণমূলে যোগদানের সংখ্যা বা দলবদল বেশি হচ্ছে বিজেপির তুলনায়। এবার লড়াই মূলত বিজেপি বনাম তৃণমূল হয়ে উঠেছে।
প্রশান্ত কিশোরই দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে বিজেপিতে! অর্জুনের নিশানায় বাণ হানলেন তথাগত