তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের তালিকা তৈরি! একুশের আগে ভাবমূর্তি ফেরাতে তৎপর মমতা
তৃণমূলে দুর্নীতির কোনও স্থান নেই। তাই তড়িঘড়ি দুর্নীতির বাসা ভাঙতে পরিকল্পনা করল রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি হল দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের তালিকা।
তৃণমূলে দুর্নীতির কোনও স্থান নেই। তাই তড়িঘড়ি দুর্নীতির বাসা ভাঙতে পরিকল্পনা করল রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি হল দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের তালিকা। সেই তালিকা ধরেই একে একে নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস হাঁটছে শুদ্ধিকরণের পথে।
কড়া হাতে লাগাম ধরলেন মমতা
তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো করে জানে, দুর্নীতি বন্ধ না হলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিপদ ঘনিয়ে আসবে। এমন রিপোর্ট মমতা বন্যোত পাধ্যায়কে সম্প্রতি দিয়েছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর প্রতি তাই অনেক নেতা-নেত্রীই ক্ষুব্ধ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝেছেন তৃণমূলের কাছে মারীভয় হয়ে উঠছে দুর্নীতি। কেননা তৃণমূলের এই দুর্নীতির জন্য বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নামের তালিকা ধরে শোকজ করা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের
তৃণমূল তাই দুর্নীতি বন্ধ করতে একের পর এক নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দুর্নীতি মানবেন না দলে। তাঁর কাছে মানুষই আগে। মানুষের জন্যই তাঁর দল, এটা সমস্ত নেতাকে মনে রাখতে হবে। তাই রাজ্যের তরফে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নাম জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নামের তালিকা ধরে শোকজ করা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
দুর্নীতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে বাধ্য হলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, সরকারি ত্রাণ নিয়ে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তা সত্ত্বেও দুর্নীতির অভিযোগ আসছে। কিছুতেই দুর্নীতি পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলকে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও এলাকায় নেতা-নেত্রীর দুর্নীতি সামনে আসছে। এবার তাই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল তৃণমূল। ২০২১ নির্বাচনের আগে দুর্নীতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে বাধ্য হলেন মমতা।
অনেক হেভিওয়েটকেও শোকজ করা হয়েছে
রাজ্যজুড়ে অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা তাদের কাছের লোককে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিচ্ছেন। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পাচ্ছেন না। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই একজনকে তাড়িয়েছে দল থেকে। অনেক হেভিওয়েটকেও করা হয়েছে শোকজ। নির্বাচনের আগে দুর্নীতি বন্ধ করা আশু কর্তব্য বলে মনে করছে তারা।
কার নামে ‘সমন' আসবে কেউ জানেন না
তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকজনই দলের দায়িত্বে থাকবেন। কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জায়গা তৃণমূলে হবে না। জেলার অনেক তৃণমূল নেতাই এই ইস্যুতে চাপে রয়েছেন। কার নামে ‘সমন' আসবে কেউ জানেন না। কোথা দিয়ে কখন দুর্নীতির কোপ পড়বে ঘাড়ে, তাতে এক লহমায় শেষ হয়ে যেতে পারে রাজনৈতিক কেরিয়ার।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী তৃণমূল
আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল লাভবান হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। তাই যে কোনও মূল্যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো'র মাধ্যমে যেভাবে হারানো জমি পুনরুদ্ধার হয়েছিল, তা আর হারাতে চায় না তারা।