একা ‘কেষ্ট’য় রক্ষা নেই, তৃণমূল কংগ্রেসে ‘সুগ্রিব’ অনেক! একুশের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে
একা ‘কেষ্ট’য় রক্ষা নেই, তৃণমূলে ‘সুগ্রিব’ অনেক! একুশের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে
২০২১-এ 'প্রেস্টিজ ফাইট' তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলায় বিজেপির উত্থান হয়েছে চ্যালেঞ্জার হিসেবে। সেই বাধা কাটিয়ে হ্যাটট্রিক করতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে তৃণমূলের আকাশে সিঁদুরে মেঘ উঁকি দিয়েই চলেছে। একের পর এক নেতা উত্তাপ ছড়িয়ে চলেছেন তাঁদের বেফাঁস মন্তব্যে।
বেফাঁস মন্তব্যে তৃণমূলের পথ কণ্টকময়
বীরভূমের ‘কেষ্ট' অনুব্রত মণ্ডল বরাবরই বেফাঁস মন্তব্য করেন। তৃণমূলকে বিপাকে ফেলেন। আবার দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধমক খেয়ে সোজা হন। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন। কিন্তু তা বলে অন্যরাও তাঁকে অনুসরণ করতে লেগেছেন। নানা মন্তব্যে তৃণমূলের পথ কণ্টকময় করে তুলছেন ২০২১ নির্বাচনের আগে।
তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন তৃণমূলীরাই
অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও বেফাঁস মন্তব্যকারী নেতার এই তালিকায় ভিড় করেছে বহু নাম। বেচারাম মান্না থেকে শুরু করে উদয়ন গুহ রয়েছেন, আবার জলপাইগুড়ির কৃষ্ণও এমন উত্তাপ ছড়াচ্ছেন ভোটের আগে যে, বিরোধীরা অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছেন। বিরোধীদের কথায়, তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাই।
তৃণমূল নেতা উবাচ, পস্তাতে হতে পারে একুশে!
কেউ বলছেন ভোট ছিনতাই করি, কেউ বলছেন পঞ্চায়েত দুর্নীতি করে, টাকা খায়, আবার কেউ বলছেন মন্ত্রী অপদার্থ। এইসব নানা কথা তৃণমূলের রাস্তা কঠিন করে দিচ্ছে। দলের কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে হাততালি কুড়োচ্ছেন অনেকে, কিন্তু যে ইমেজ তৈরি করছেন তাঁরা, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে পস্তাতে হতে পারে তৃণমূলকে।
এক ঝলকে কার কী বেফাঁস মন্তব্য সম্প্রতি
সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল মন্ত্রীকে বলেছে অপদার্থ। তারপর দিন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে তাঁর নাম আগাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। আবার বেচারাম মান্না বলেছেন, যদি পার্টি থেকে খেয়ে কেউ কর্মীদের বঞ্চিত করে, তবে কর্মীরা তাঁকে পার্টি থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবেন। আবার উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এখন নয়, ছ-মাস পরে খাবেন। এখন খেলে আর খাওয়ার সুযোগ মিলবে না। তারপর জলপাইগুড়ির কৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, আামি তো মস্তান, ভোট ছিনতাই করি। আমি যদি দাগি মালকে জেতাতে পারি, আপনারা ভালো মানুষ কেন ফ্রেশ মালকে জেতাতে পারবেন না।
কেষ্টযাত্রা বা কৃষ্ণলীলা সর্বত্রই চলছে প্রতি নিয়ত
তৃণমূল নেতাদের এইসব কথাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বেশ মজা পাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যে। তৃণমূল পড়েছে বেকায়দায়। না পারছে গিলতে, না পারছে ফেলতে। অবশ্য বিজেপিও কময় যায় না। বিজেপিতেও এমন কেষ্টযাত্রা বা কৃষ্ণলীলা হয় প্রায়ই। রাজনীতির এই নোংরা খেলাতেই একে অপরকে চেষ্টা করে মাত দিতে।
বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও