মুকুল রায়ে দিল্লি-কলকাতা 'ডেলি প্যাসেঞ্জারি' কাজে এসেছে, কটাক্ষ বিরোধীদের
কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি : শুক্রবার সকাল ১১ টা ১২ টা পর্যন্ত আকাশে বাতাসে জল্পনা ছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মদন মিত্রর পরিণতি হতে চলেছে মুকুল রায়েরও। অর্থাৎ জেরা শেষেই মুকুল রায়কেও গ্রেফতার করবে সিবিআই। আর তা না হওয়াতেই বিজেপি-মুকুলের আঁতাঁত প্রশ্নে মুখর হল বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন : মুকুলের ইতিবাচক আচরণে চমকে গিয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরাই! অস্বস্তিতে তৃণমূল
আরও পড়ুন : সারদা কাণ্ড : সিবিআই-কে ঠিক যা যা তথ্য দিলেন মুকুল রায়
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির অভিযোগ, "বোঝা হেল বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের একটা সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। আর তাই তো মুকুল রায়কে ছেড়ে দেওয়া হল। মুকুল রায়ের প্রতি বিজেপি দুর্বল হতে শুরু করেছে। বিজেপির নেতা একদিকে বলছে মমতা ভাগ, মদন ভাগ, মুকুল ভাগ। অন্যদিকে সেই দলেরই নেতা কীর্তি আজাদ বলছেন মমতার মতো সৎ নেত্রী হয় না। এতো দুয়ে দুয়ে চার।" অধীরবাবু আরও বলেন, বিজেপি সিবিআই-এ ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের একটা অংশকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে। আর সেই কারণেই মুকুল রায়কে সাড়ে চার ঘন্টার জেরার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল।
বিজেপির নাম না করলেওএকই সুর বামেদের কন্ঠেও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মুকুলবাবু এই যে এত দিল্লি কলকাতা ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করলেন, নিশ্চয়ই কাউকে সন্তুষ্ট করতে বারবার দিল্লি ছুটে গিয়েছেলিলেন, আপাতদৃষ্টিতে তো মনে হচ্ছে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। তাই তো আর গরাদে ঢুকতে হল না মুকুলবাবুকে।"
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের কথায়, "সারদার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে সাজা পেতেই হবে, আর তার একটাই সাজা জেল।" এদিকে রাজ্যসভাপতি রাহুল সিনহা বলেনস সিবিআই মুকুল রায়কে জেরা করেছে। এদিন ছেড়ে দিয়েছে মানে এই নয় যে তিনি চিরকালের মতো অব্যাহতি পেলেন। জেলে তাঁকে যেতেই হবে।