সামনের বছরই পঞ্চায়েত ভোট, বাজেটে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের উন্নয়নে নজর তৃণমূল সরকারের
সামনের বছরই পঞ্চায়েত ভোট, বাজেটে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের উন্নয়নে নজর তৃণমূল সরকারের
সামনের
বছরই
পঞ্চায়েত
ভোট,
বাজেটে
উত্তরবঙ্গ
ও
জঙ্গলমহলের
উন্নয়নে
নজর
তৃণমূল
সরকারের
রাজ্যে
প্রায়
সমস্ত
পুরসভার
ভোট
হয়ে
গিয়েছে।
এবার
আগামী
বছর
পঞ্চায়েত
নির্বাচনের
কাউন্টডাউন
শুরু
হওয়ার
অপেক্ষা।
তার
আগে
উত্তরবঙ্গ
ও
জঙ্গলমহলের
উন্নয়নে
গুরুত্ব
আরোপ
করা
হল
রাজ্য
বাজেটে।
অর্থমন্ত্রী
চন্দ্রিমা
ভট্টাচার্য
বাজেট
পেশ
করে
জানান,
উত্তরবঙ্গ
ও
জঙ্গলমহলের
উন্নয়নে
প্রায়
১৫০০
কোটি
টাকা
বরাদ্দ
করা
হয়েছে
এবার।
বাজেটে জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৭৯৭.৪৩ কোটি টাকা। আর জঙ্গলমহল-সহ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৬৯৩.৫৬ কোটি টাকা। শুধু উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহল নয়, সুন্দরবন উন্নয়ন খাতেও ৫৮৭.৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাজেট বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ সেরে ফেলেছে। জয়গাঁ কলেজ, শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়ন, ফালাকাটা মার্কেট কমপ্লেক্স, কলেজের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ-সহ আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, লালপানি নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ হয়েছে। কোচবিহার জেলাতেও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার কাজ হয়েছে। দার্জিলিং জেলাতেও বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় কলেজ ভবন ছাড়াএ স্পোর্টস কমপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ হয়েছে। মালদহ জেলায় বাগীরথী নদীর উপর সেতু নির্মাণ হয়েছে। কালিন্দী নদীর উপরও সেতু নির্মাণের কাজ শেয হয়েছে।উত্তর দিনাজপুরেও সিংহনাথ ঘাটে বোর পাই সেতু নির্মাণ হয়েছে। অগ্রসেন মহাবিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলে তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, জীবিকার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প, জঙ্গলমহলের উৎসবের মতো সাংসকৃতিক উৎসব সংগঠিত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের অধীন১২৫৫৮টি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, সেচ, পানীয় জল, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলে উৎসবে জনজাতিদের সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহ বাড়াতে বাদ্যযন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া সুন্দরবন অঞ্চলে রাস্তা বাঁধাই থেকে বিটুমিনাসের রাস্তা তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। ১৫টি ব্রিজের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৩০৬টি পরিকাঠামোগত নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মেরামত ও পুনর্বাসনের জন্য ৩৭ কোটিরও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সামুদ্রিক ঝড় প্রতিরোধে ৫৬০ হেক্টর জমিজুড়ে ঝাউ ও ম্যানগ্রোভ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের লোনা জলের মাছ চাষের উৎসাহ দিতে ৩০ হাজার সুবিধাভোগীকে আইএমসি মাছের মীন ও মৎস্যখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।