কথা রাখলেন অভিষেক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরাদেবীর পেনশন কার্যকর
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু স্বেচ্ছায় ভবঘুরে জীবন বেছে নিয়েছিলেন নাকি পরিস্থিতি তাঁকে বাধ্য করেছিলেন সেই ফুটপাতে দিন কাটাতে, তা বিচারসাপেক্ষ।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু স্বেচ্ছায় ভবঘুরে জীবন বেছে নিয়েছিলেন নাকি পরিস্থিতি তাঁকে বাধ্য করেছিলেন সেই ফুটপাতে দিন কাটাতে, তা বিচারসাপেক্ষ। তবে তাঁকে রাস্তায় দিন কাটাতে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর পেনশনের ব্যবস্থা করবেন। সেই কথা রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে জানানো হল- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসুকে সরকারি পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করল অর্থ দফতর। পেনশনের পাশাপাশি গ্র্যাচুইটির অর্থও ইরা দেবীকে শীঘ্রই দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে অর্থ দফতররে তরফে। মিলবে বকেয়া পেনশনের টাকাও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ার করুণ দশায় চটদলদি ব্যবস্থা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার।
সম্প্রতি ডানলপের কাছে ফুটপাতে ঘুরতে দেখা যায় বুদ্ধদেব-শ্যালিকা ইরা বসুকে। এক সময় তিনি ছিলেন শিক্ষিকা। তাঁর পরিচয় সামনে আসার পর অবাক হয়ে যান সবাই। মুহূর্তেই ওই খবর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়ে মানসিক হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে তিনি থাকতে চাননি। তিনি ফিরে আসেন খড়দহে।
ইরাদেবীর কাছ থেকেই জানা যায়, তাঁর এই পরিস্থিতি হলেও তিনি কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য নেননি। ইরাদেবীর এই দুর্দশার খবর পৌঁছে যায় তৃণমূল্র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্যোদ পাধ্যায়ের কাছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে ইরাদেবীর খোঁজখবর নেন। তিনি পেনশন পান না শুনে তাঁকে পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এরপরই ইরাদেবীকে প্রাপ্য পেনশন, বকেয়া পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের আবেদনের পর অর্থ দফতর তাঁর প্রাপ্য পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়ার অনুমোদন দেয় অর্থ দফতর। অর্থ দফতর থেকে এদিন জানানো হয়েছে, আপাতত মাসে ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা করে পেনশন পাবেন ইরা দেবী।
ইরাদেবী খড়দহের প্রিয়নাথ হাইস্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে অবসর নেন ২০০৯ সালে ১ মে। তিনি অবসর গ্রহণের পর তাঁর প্রাপ্য পেনশন পাননি। কিনি পেনশন থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন। এদিন অর্থ দফতর জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ১ মে থেকেই তাঁর পেনশন কার্যকর হবে। এতদিন তাঁর যে পেনশন বকেয়া ছিল, তাও পাবেন তিনি। সেই টাকাও তাঁকে মিটিয়ে দেওয়া হবে শীঘ্রই। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে ইরা দেবীর নোমিনি করা হয়েছে বুদ্ধদেববাবুর মেয়ে সুচেতনা ভট্টাচার্যকে।