পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে জটিলতা অব্যাহত, ঝুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের সুপ্রিম-রায়
বাংলার পঞ্চায়েত জটিলতা অব্যাহত। শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্টে নিস্পত্তি হল না পঞ্চায়েত মামলার। বিচারপতি এ এম খাওয়ালিকার অসুস্থ থাকার কারণে পঞ্চায়েত মামলা পিছিয়ে গেল। ফের শুনানি হবে সোমবার।
বাংলার পঞ্চায়েত জটিলতা অব্যাহত। শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্টে নিস্পত্তি হল না পঞ্চায়েত মামলার। বিচারপতি এ এম খাওয়ালিকার অসুস্থ থাকার কারণে পঞ্চায়েত মামলা পিছিয়ে গেল। ফের শুনানি হবে সোমবার। দেশের শীর্ষ আদালত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনগুলির ভাগ্য নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে বোর্ড গঠন। তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হয়ে গেল শুক্রবার থেকে। কিন্তু বেশিরভাগ পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন করা গেল না। ফলে তা নিয়ে চিন্তায় সরকার। রাজ্য সরকার প্রথমে ঠিক করে ছিল যে সমস্ত পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা গেল না, সেই সমস্ত পঞ্চায়েত 'টেক কেয়ার অথরিটি' বা প্রশাসক বসানো হবে।
কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। কারণ পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েতে প্রশাসক বসানো যায় না। কেবলমাত্র পুরসভায় প্রশাসক বসানো যায়। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে কথা মাথায় রেখে স্থির হয়, গ্রাম সংসদের সভা থেকেই হবে উন্নয়নমূলক কাজ। আগামী সোমবার একটা স্থির সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা ৩৪ শতাংশ আসন নিয়ে ফয়সালা বাকি রয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। ৬ আগস্ট সেই বহু আকাঙ্খিত রায় মিলতে পারে বলে আশা ছিল। কিন্তু শুনানি পিছতে পিছতে ২০ আগস্ট গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না, এই অবস্থায় আগামী সোমবারের দিকেই তাকিয়ে রাজ্য। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে তিন মাস অতিক্রান্ত। এখনও অনিশ্চয়তা কাটছে না। কালবিলম্ব হয়েই চলেছে সুপ্রিম সিদ্ধান্তে।