বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড, পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করে কড়া বার্তা তৃণমূলের
বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড, পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করে কড়া বার্তা তৃণমূলের
বাংলার বিজেপির বিরুদ্ধে মহাসংগ্রাম জিতে টানা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই তাঁরা নজর দিয়েছে ত্রিপুরা ও অসমে। বাংলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা ও অসমের দিকে হাত বাড়িয়েছে তৃণমূল। প্রবল বিজেপি বিরোধিতায় নিত্যদিন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলার এক পঞ্চায়েতে উল্টো চিত্র। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গড়ায় তৃণমূলের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল।
পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস
বিজেপির সঙ্গে বোর্ড গড়ার শাস্তিস্বরূপ পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মালদহের মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলকে সমর্থন করার জন্য মানিকচকের চৌরি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার করা হল।
প্রধান পদ সংরক্ষিত, তৃণমূল বোর্ড দখল করতে পারেনি
তৃণমূলের বহিষ্কৃত পাঁচ সদস্য হলেন- সাবিনা খাতুন, শেখ সাজিদ, সামিনা খাতুন, সাজদা খাতুন ও মহম্মদ হাসানুজ্জামান চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ৬, তৃণমূলের ৯ ও কংগ্রেস ২টি আসন পায়। তৃণমূল এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু প্রধান পদটি তফশিলি জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তৃণমূল বোর্ড দখল করতে পারেনি।
বিজেপির সদস্য প্রধান নির্বাচিত, অনাস্থা বিজেপিরই
বিজেপির মাম্পি রজক প্রধান নির্বাচিত হন চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সদস্যরা মাম্পির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা আনেন। তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই দলই তাঁকে সমর্থন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্য দলীয় নির্দেশ অমান্য করে মাম্পির বিরোধী বিজেপি সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাম্পিকে সরিয়ে দেন।
বিজেপির অন্য সদস্য় প্রধান, সমর্থন তৃণমূলের
মাম্পির পরিবর্তে বিজেপির সুকনি সাহা চৌধুরীকে প্রধান করা হয়। তাঁকে সমর্থমন করেন তৃণমূলের ৫ জন, বিজেপির ৫ জন এবং কংগ্রেস থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওা আর এক সদস্য। উপপ্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের শেখ সাজিদ। তৃণমূলের বাকি চারজন বিজেপি ও কংগ্রেসের ১ জন করে সদস্য বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেননি।
দলবিরোধী কাজের জন্য পাঁচ সদস্যকে বহিষ্কার
এরপরই তৃণমূলের তরফে দলবিরোধী কাজের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনার পর বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল। তাই দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কড়া হল তৃণমূল কংগ্রেস। একেবারে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল। এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়েও দেওয়া হল।