ফাঁকিবাজ নেতাদের চিহ্নিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, দিদিকে বলোর দ্বিতীয় সংস্করণে কড়া বার্তা
লোকসভা নির্বাচনের ঘাটতি মেটাতে তৃণমূল গুরুত্ব দিয়েছে জনসংযোগে। বৌট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’অভিযান।
লোকসভা নির্বাচনের ঘাটতি মেটাতে তৃণমূল কংগ্রেস গুরুত্ব দিয়েছে জনসংযোগে। বৌট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে শুরু হয়েছে 'দিদিকে বলো'অভিযান। সেই অভিযানের প্রথম পর্যায়ে আশাতীত সাফল্য মিললেও, তৃণমূল বেশ কিছু নেতার উপর ক্ষুব্ধ। এই অভিযানকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রচারে ফাঁকি মেরেছে যাঁরা তাঁদের এবার কড়া শাস্তির বার্তা দিল তৃণমূল।
দলে ফাঁকিবাজদের বার্তা
মঙ্গলবার দলের ব্লক সভাপতি ও টাউন সভাপতিদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। সেই বৈঠকে প্রথম পর্যায়ে দিদিকে বলোর রিপোর্ট কার্ড পেশের পাশাপাশি নেতাদের ফাঁকিবাজি নিয়েও কথা হয়। যেসব নেতা এই কাজে ফাঁকি দিয়েছেন, তাঁদের জন্য কড়া শাস্তি অপেক্ষা করছে বলেও জানিয়ে দেন অভিষেক।
প্রথম পর্যায়ে সাফল্যের মাঝেও ফাঁকি
এদিন ‘দিদিকে বলো'র প্রথম পর্যায়ের মূল্যায়নের পাশাপাশি পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া হয় বৈঠকে। যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দিদিকে বলো'র প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘দিদিকে বলো' রূপায়ণে মোট ৬০০ নেতাকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০০০ গ্রাম ও ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়েছে প্রচারের জন্য। তাঁরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্যামাত্রা পূরণে নামবেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে রেয়াত নয়
একইসঙ্গে বার্তা দেওয়া হয়েছে, দিদিকে বলোর প্রথম পর্যায়ে কারা ফাঁকি দিয়েছেন, সবই দলের নখদর্পণে রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সেই ভুল হলে কোনও রেয়াত করবে না দল। মোট কথা মানুষের কাছে যেতে হবে। তাঁদের কৈফিয়তের জবাব দিতে হবে। মানুষের জন্ মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এর অন্যথা বরদাস্ত করা হবে না।