মমতার যুক্তরাজ্য সফরের আগে হুমকি ফোন ও ইমেল পেল তৃণমূল
কলকাতা, ২৬ জুলাই : বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তরাজ্য সফরে যাওয়ার একদিন আগেই, হুমকি ফোন, চিঠি, ভয় দেখানো ইমেল নেতাদের কাছে পৌছিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অভিযোগ, ব্রিটেনের কিছু হিন্দু উগ্রবাদী মুখ্যমন্ত্রীর এই সফল করে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে পাশাপাশি ব্রিটিশ শিল্পপতিতের বাংলায় বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিচ্ছে।
দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় তিনি এইধরণের হুমকি দেওয়া ১০টি ইমেল পেয়েছেন। এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্তের কাছে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন জানিয়েছে দল।
এছাড়াও লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশও এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডেরেক ছাড়াও দলের সাধারন সম্পাদক তথা সাংসদ সুব্রত বক্সিও হুমকি ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মোট ৬৬ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের সফরে যাওয়ার কথা আজ রবিবার। চার দিনের এই সফরে বড় বড় শিল্পপতিদের সঙ্গে তার দেখা করার কথা আছে।
ডেরেক জানিয়েছেন, "যে ইমেলগুলি পেয়েছি তা দেখে মনে হচ্ছে এই কাজ চরম ডানপন্থী দল যেমন আরএসএস, বিজেপির যোগে আমাদের পার্টি ও নেতাদের এইধরণে প্রান নাশের হুমকি দেওয়া ইমেল পাঠাচ্ছে কয়েকদিন ধরে।"
হুমকির পাশাপাশি এই ধরণের হুমকি চিঠিগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে "বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট" বলে অভিহিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে বলা হয়েছে 'সাম্প্রদায়িক বাংলা'।
নিউ ইয়র্কের ঠাকানা থেকে পাঠানো একটি প্রেস বার্তায় বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সরকার চালাচ্ছে যা মুসলিম মৌলবাদীদের সাহায্যে শিশু পাচারকে তোল্লাই দিচ্ছে, তারও মমতার ক্ষমতা ধরে রাখাতে তাঁকে সাহায্য করছে। পশ্চিমবঙ্গকে তিনি একটি সন্ত্রাসের রাজ্য পরিণত করেছেন।
দলের অন্যান্য নেতারা এই ধরণের হুমকি মেলের ভাষায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এদিকে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানিয়েছেন, এই ধরণের কোনও খবর তিনি জানেন না। যদিও তিনি এও বলেছেন, এর আগেও মগরাহাট কাণ্ডে আমরা দেখেছি শুধু ভারতে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বাইরেও যুক্তরাজ্য, নিউ ইয়র্কে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তাঁর আত্মতুষ্টির সরকার বাংলার যে ছবি বিশ্বে তুলে ধরছে তাতে বিদেশের মানুষও সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে।