ছাত্ররা ঢাল, পতাকা পিছনে! বনধ ব্যর্থ করার আহ্বানে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন পার্থ
বনধ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ ব্যর্থ করতে সরকারি দফতরের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু রাখার আহ্বান জানালেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বনধ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ ব্যর্থ করতে সরকারি দফতরের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু রাখার আহ্বান জানালেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ছাত্রদের ঢাল করে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। তা ব্যর্থ করতেই হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরজি জানান, দফতর খোলার পাশাপাশি কর্মী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য সরকার ও বেসরকারি সমস্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থা রাখা হবে। মানুষকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পার্থবাবু বলেন, কর্মনাশা বনধ রাজ্য চায় না। সরকারও বনধ সমর্থন করে না। আসলে বিজেপি বনধ ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, প্রথম ছাত্রদের ঢাল করে হিংসা ছড়িয়েছে বিজেপি, তারপর প্রতিবাদের বনধ ডেকে রাজ্যকে উত্তপ্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই বনধ উপেক্ষা করে বাংলার মানুষ বাংলাকে সচল রাখতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি কর্মীদের ছুটিতে লাগাম টানা হয়েছে। বনধের দিনে ছুটি করলে কোপ পড়বে বেতনে।
তিনি বলেন, বনধের দিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতেও বাড়তি বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে কারখানা, অফিস আদালতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আহ্বান জানিয়েছেন সমস্ত যান-বাহনকে রাস্তায় নামতে। তাদের ক্ষতিপূরণ, বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের হৃদয় প্রতিস্থাপন! সাফল্যেক হ্যাটট্রিকে ইতিহাসের অপেক্ষায় কলকাতা ]
দলের মহাসচিব হিসেবে পার্থবাবু জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বনধ ডেকে অশান্তি পাকাতে চাইছে বিজেপি। এর প্রতিবাদেই রাস্তায় নামবে তৃণমূল। এই বনধের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস-সিপিএমও। যদিও বিজেপি জানিয়েছে, তাঁদের শক্তি তাঁরা দেখিয়ে দেবে বনধের দিনই।
[আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীরা উইপোকা! অসমে এনআরসি-ইস্যুতে অমিত শাহকে 'অজ্ঞ' বলল বাংলাদেশ]
[আরও পড়ুন:বঙ্গ বিজেপিতে রয়েছেন 'মিরজাফর'! নিজের বাহিনী নামিয়ে 'গোয়েন্দাগিরি' অমিত শাহের]