তৃণমূল ঝড় তুলে ১২ দিনে ১০০০ পেরিয়ে গেল, পঞ্চায়েতের আগে সাফল্য জনসংযোগে
তৃণমূল ঝড় তুলে ১২ দিনে ১০০০ পেরিয়ে গেল, পঞ্চায়েতের আগে সাফল্য জনসংযোগে
তৃণমূল ঝড় তুলে দিল মাত্র ১২ দিনে। পুজোর পর মাত্র ১২ দিনে ১০০০ পার করে দিল তৃণমূলের কর্মসূচি। বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগের যে লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল তৃণমূল, সই সংখ্যাও পেরিয়ে গেল তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূলের এই সাফল্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের অনেক এগিয়ে রাখবে।
১২ দিনে ১০০০ বিজয়া সম্মিলনী তৃণমূলের
বিজয় দশমীর পর থেকে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করেছিল তৃণমূল। লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ বিজয়া সম্মিলনী করা। কিন্তু ৫০০-র পরিবর্তে বিজয়া সম্মিলনীর সংখ্যা মাত্র ১২ দিনে ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০০। ফলে তৃণমূল যে জনসংযোগে অন্য বিরোধীদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে,তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
পুরনো ও নতুনদের মেলবন্ধনে বিজয়া সম্মিলনী
তৃণমূল ৫০০-র জায়গায় ১০০০ বিজয়া সম্মিলনী করে জনসংযোগের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোন এলাকায় কী সমস্যা তাঁর একটা আঁচও পেল। কোথায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে কি না। তার আভাসও পেল বিজয়া সম্মিলনী থেকে। তৃণমূল চেয়েছিল বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে পুরনো ও নতুনদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে। অনেক ক্ষেত্রে তারা সফল। অনেক ক্ষেত্রে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে, সেটাও তৃণমূলের পক্ষে ভালো হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগ তৃণমূলের
তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে বহু মঞ্চে নতুন ও পুরনোদের একসঙ্গে হাজির করার পরিকল্পনা করেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সফল হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একের বদলে একাধিক বিজয়া সম্মিলনী হয়েছে এক কেন্দ্রের একাধিক নেতার। বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে জনসংযোগের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থাপন করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে তৃণমূলের কাছে।
বিজয় সম্মিলনীতে পাঁচ লক্ষ্যমাত্রা তৃণমূলের
তৃণমূল পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বিজয় সম্মিলনীতে। এক, তৃণমূল চেয়েছিল সব সভায় দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা সামনে তুলে ধরতে। দুই সভাগুলিতে রাজ্য কমিটির একজন অন্তত নেতাকে উপস্থিত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তিন, দলের প্রতিষ্ঠার দিন থেকে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সংবর্ধনা প্রদান। চার, দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে শামিল করে নতুনদের সঙ্গে পুরনোদেরও এক মঞ্চে নিয়ে আসা। পাঁচ, বহু জায়গায় কাদের দ্বন্দ্ব তা জানা।
ধারে-ভারে বিরোধীদের থেকে অনেক এগিয়ে
তৃণমূল কংগ্রেস এই বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে তারা ধারে-ভারে বিরোধীদের থেকে অনেক এগিয়ে। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূলই যে একমাত্র বিকল্প, আর কেউ ধারেকাছে নেই, তা বোঝানোর জন্যও তারা বেছে নিয়েছিল বিজয়া সম্মিলনীকে। বহু জায়গাতেই দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল।
নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নজরকাড়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকা সত্ত্বেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল নজরকাড়া। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৫০০ সভার টার্গেট রাখলেও তার দ্বিগুণ সংখ্যক সভার আয়োজন তৃণমূলের চূড়ান্ত সাফল্য হিসেবেই ধরা হবে। ৩০ লক্ষ সাংগঠনিক কর্মীকে ময়দানে নামানোর পাশাপাশি ৮০ লক্ষ মানুষের কাছে প্রত্যক্ষভাবে পৌঁছে যাচ্ছে দল। এই বিরাট জলসংযোগ পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।
বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে নন্দীগ্রামে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হঠাৎ রাজনৈতিক পালাবদল