মুকুল-শুভেন্দুদের প্রস্থানে তৃণমূলে উত্থান যাঁদের, একুশের যুদ্ধে নয়া অস্ত্রে শান মমতার
মুকুল-শুভেন্দুদের প্রস্থানে তৃণমূলে উত্থান হল যাঁদের, একুশের যুদ্ধে নয়া অস্ত্র শান মমতার
বাংলায় একটা প্রবাদবাক্য আছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। তৃণমূলে এখন সেই 'পুরনো চালে'রই কদর। তবে শুধু পুরনো চাল বললেই হবে না, নবীনদেরও এবার উত্থান হয়েছে একুশের কুরুক্ষেত্রের আগে। মুকুল-শুভেন্দুদের প্রস্থানে তৃণমূলের সামনের সারিতে উঠে এসেছে এমন অনেক নেতা, যাঁদের আগে দেখা যায়নি সেভাবে!
মমতার দলের মুখপাত্র হিসেবে উত্থান যাঁদের
মমতার তৃণমূলে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন মুকুল রায়। তাঁর হাত থেকে ব্যাটন অভিষেকের হাতে চলে যাওয়ার পরই তিনি দল ছাড়েন। আর শুভেন্দু ছিলেন তৃণমূলে ভরসা যোগ্য নাম। তিনিও বিজেপিতে। অনেকে আবার বেসুরো বাজছেন। এই অবস্থায় মমতার দলের মুখপাত্র হিসেবে উত্থান হয়েছে সৌগত রায়, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষেরও।
২০২১-এর বিধানসভার প্রাক্কালে উত্থান মুখপাত্রের
বিরোধীদের মোকাবিলায় সৌগত রায়কেই দেখা যাচ্ছে সামনের সারিতে। দলের তরফে যাবতীয় প্রশ্নবাণ তিনি সামালাচ্ছেন। সেইসঙ্গে ব্রাত্য বসুকেও দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে কুণাল ঘোষকে। বিরোধীদের প্রশ্নবাণের চটজলদি জবাব তাঁদের মুখ দিয়েই আসছে। ২০২১-এর বিধানসভার প্রাক্কালে চোখে পড়ার মতো উত্থান হয়েছে সৌগত রায়-ব্রাত্য বসুদের।
সৌগত রায় ও ব্রাত্য বসুদের উত্থান রাজ্য রাজনীতিতে
রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, সৌগত রায় ও ব্রাত্য বসুদের প্রজ্ঞা ও নানা বিষয়ে বুৎপত্তিই তাঁদেরকে ফের সামনেু সারিতে নিয়ে এসেছে। ইতিহাসভিত্তিক কোনও মতামতে ব্রাত্য বসুর জুড়ি মেলা ভার। তেমনই রাজনীতির বিভিন্ন দিকে পদচারণা সৌগত রায়ের। আর কুণাল ঘোষের টি ২০-র ধাঁচে বিজেপির আক্রমণ দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার ক্ষমতা এবার নয়া অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে মমতার তৃণমূলে।
সৌগত রায়ের পারফরম্যান্সে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস
সৌগত রায় তৃণমূলের ঘোষিত মুখপাত্র নন। কিন্তু সমস্ত বিষয়েই তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি দল। প্রবীণ নেতার এই রাজনৈতিক উত্থানে তৃণমূল উপকৃত হচ্ছে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে। সৌগত রায় সমস্ত বিষয়েই চমৎকার বলছেন বলে অভিমত তৃণমূলের অন্দরে।
শুভেন্দু-অধ্যায় থেকেই সামনের সারিতে সৌগত রায়
শুভেন্দু অধিকারী অধ্যায় থেকেই সামনের সারিতে চলে আসেন সৌগত রায়। শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও তাঁকে আলোচনার টেবিলে টেনে এনেছিলেন, বসিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শুভেন্দু পালের হাওয়া প্রাথমিকভাবে তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন। বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন, শুভেন্দুকে ধরে রাখার সমস্তরকম চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজ্য রাজনীতিতে ব্রাত্যর উত্থান তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে
সৌগত রায় যখন রাজনীতির সমস্ত দিক- শুভেন্দু থেকে কেডি সিং সবকিছু ভালো সামলাচ্ছেন তখন রবীন্দ্রনাথ থেকে নেতাজি সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন ব্রাত্য বসু। বিজেপি-আরএসএসকে ইতিহাস শেখাচ্ছেন তিনি। ব্রাত্য যে ইতিহাসের লোক। আর মঞ্চ সামলানোর অভিজ্ঞতা তাঁর প্রখর। তাই তাঁরও উত্থান হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
অপেক্ষা ২০২১-এর ভোটযুদ্ধের রায় বের হওয়া পর্যন্ত
এছাড়াও রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতারা। তাই শুভেন্দু-মুকুলদের অনুপস্থতিতে লড়াইয়ের ময়দানে বিকল্প অনেককেই পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। মুখপাত্র হিসেবে আবার কুণাল ঘোষ, দেবাংশুরাও খারাপ কাজ করছেন না। এর ফল কতটা মধুর হয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২১-এর ভোটযুদ্ধের রায় বের হওয়া পর্যন্ত।
নিজের বাবা ও ভাইকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটালেন শুভেন্দু! মমতার পরিবারে 'ভাঙন' কবে জানালেন শুভেন্দু