গুলি করে মারার নিদান! দিলীপের বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর দায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের
সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার রানাঘাটে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার রানাঘাটে দিলীপ ঘোষের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর জোড়া এফআইআর দায়ের করা হয় দিলীপের বিরুদ্ধে। রানাঘাটের পর এফআইআর হল বারাসত থানায়। তা সত্ত্বেও টনক নড়েনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি এরপরও কুকথার বন্যা বইয়েই চলেছেন।
রবিবার রানাঘাটে সিএএ সমর্থনে জনসভায় দাঁড়িয়ে বেলাগাম আক্রমণ করেন প্রতিবাদীদের। তিনি বলেন, যাঁরা প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভ দেখিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছেন, তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। অসম-উত্তরপ্রদেশ-কর্ণাটকে বিজেপি শাসিত সরকার তা করে দেখিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলায় তারা সুযোগ পেলে এমনভাবেই কুকুরের মতো গুলি করে মারতেন বিক্ষোভকারীদের। এ রাজ্যের সরকার একজনকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্ষমতাই নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে বিক্ষোভ প্রতিহত করতে লাঠি পেটা করব, গুলি করব, জেলেও পাঠাব।
দিলীপের এহেন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। নিন্দায় মুখর হয়েছেন সমস্ত মহলই। এমনকী নিজের দলেও নিন্দিত হয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে স্বপন দাশগুপ্ত, চন্দ্রকুমার বসু দিলীপ ঘোষের মসালোচনা করেন। তারপরও দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি দমবার পাত্র নন।
তাই তিনি ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে জানান, সব থেকে বড় দেশদ্রোহীদের গড় হল বাংলা। খড়গপুরে চায়ে পে চর্চায় তিন এই মন্তব্য করার পর ফের নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে। তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। নিন্দাও হচ্ছেন তবু কুকথার বাণ ছাড়তে পিছপা হচ্ছেন না তিনি।
পাঁচ লক্ষের অতিরিক্ত একজনকেও নাগরিকত্ব দিলে রাজনীতি ছাড়বেন অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা