তৃণমূল ঠেকেও শিখল না! পুরসভা নির্বাচনের আগেও দলাদলি অব্যাহত মালদহে
তৃণমূল ঠেকেও শিখল না! পুরসভা নির্বাচনের আগেও দলাদলি অব্যাহত মালদহে
লোকসভা নির্বাচনের হার থেকেও শিক্ষা নিল না তৃণমূল। এখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে জেলায়। তা ফের প্রকাশ্যে চলে এল প্রাক্তনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর একটা সিদ্ধান্তে। মমতার নির্দেশে রাজনৈতিক গুরুত্ব ফিরে পেয়েই তিনি ব্লক সভাপতি বদল করে দিলেন। তাতেই জেলা তৃণমূলে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি হল।
নেতাদের দায়িত্ব বণ্টনের পরও...
দলের জেলাস্তরের নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা দিয়েছিলেন কোনওমতেই দলাদলি করা যাবে না। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। তা-ই হল। মমতা ফিরতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারাটা ফের প্রকট হল।
মমতার ধমকেও কাজ হচ্ছে না
তৃণমূলে ঘোর অশান্তির বতাবরণ তৈরি হয়েছে মালদহ জেলায়। মমতার ধমকেও কাজ হচ্ছে না। যে যার মতে চলছেন তৃণমূল নেতারা। হার থেকেও শিক্ষা নেননি কেউ। তাই লোকসভা ভোটের পর জেলায় তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া মৌসম বেনজির নূরও পড়েছেন গভীর বিপাকে। তাঁকে ঘিরে্ই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন অপসারিত ব্লক সভাপতির অনুগামীরা।
ইগো ছেড়ে এক মঞ্চে নেই নেতারা
মমতার বার্তা সত্ত্বেও ইগো ছাড়লেন না কোনও নেতা। পই পই করে বলে গিয়েছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর মতো নেতাও ইগো বজায় রেখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সায় দিলেন। ফলে তৃণমূলের সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেল। একাধিক গোষ্ঠীর কোন্দলময় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে যেতে পারলেন না তিনি। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নিস্তার পেলেন না মমতা।
হার থেকেও শিক্ষা অমিল তৃণমূলে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবার মালদহে দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই হার মানতে হয় তৃণমূলকে। একটি দখল রাখে কংগ্রেস, অন্যটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থাকে শূন্য। এই হারের জন্য নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করেন মমতা। সেইমতো সবাইকে বার্তা দিয়ে যান একসঙ্গে কাজ করার। দায়িত্বও বণ্টন করে দেন তিনি।