বিজেপির অফিস নিয়ে যুদ্ধ তৃণমূল বনাম তৃণমূলে, একুশের আগে মজা লুটছে পদ্মশিবির
বিজেপির অফিস নিয়ে যুদ্ধ তৃণমূল বনাম তৃণমূলে, একুশের আগে মজা লুটছে পদ্মশিবির
২০২১-এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সমস্যার বেড়াজালে পড়ে যাচ্ছে জলপাইগুড়ি তৃণমূল। মাস খানেক আগে যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছিল, তা এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর বিরুদ্ধেও এবার ঘূঁটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে যুব সভাপতিও তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জেলা সভাপতি বনাম প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান
জলপাইগুড়ি তৃণমূলে সম্প্রতি যে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে তাতে দুই প্রতিপক্ষ হলেন জেলা সভাপতি বনাম প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান। করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে তৃণমূলে নয়া সংকট তৈরি হয় পুরসভার মেয়াদ শেষে। প্রশাসক পদে বসানো নিয়েই তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে ওঠে। প্রশাসক পদ না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু।
বিজেপি অফিস নিয়ে তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব
এবার তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ওঠে, তিনি বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছেন। বোইনিভাবে তাঁদের অফিস গড়ার অনুমতি দিয়েছেন। যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষভ উগরে দেওয়া হয়। মোহন বসু জানান, আইন মেনেই তিনি কাজ করেছেন। কোনও বেআইনি্ করেননি। এখন বিজেপির অফিস নিয়ে তৃণমূলে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি বেশ উপভোগ করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি শিবির বলছে, যে য়াই বলুক পার্টি অফিস হবে। ক্ষমতা থাকলে আটকাক তৃণমূল।
বিদ্রোহীদের নিয়ে সমান্তরাল দল চালানোর হুঁশিয়ারি
এর আগে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে। অন্য পুরসভা যেমন বিদায়ী মেয়র বা চেয়ারম্যানকে প্রশাসক পদে বসানো হয়নি। তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ওই সভাপতিকে না সরালে তিনি সমান্তরাল দল চালাবেন।
প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিজেপি যোগের অভিযোগ
মোহন বসু কোমর বেঁধে বিদ্রোহীদের এক করতে নেমে পড়েছিলেন। বিদ্রোহী নেতাদের তিনি একজোট করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে আবার বিজেপি নেতারাও আসেন মোহন বসুর সঙ্গে দেখা করতে। তাতে জল্পনার পারদ চড়ে যায় আরও। জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক অঙ্ক অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করে।
তৃণমূলে তৃণমূলে যুদ্ধ হচ্ছে, বিজেপি মহোল্লাসে
বিজেপির পার্টি অফিস বিতর্ক ফের মোহন বসুর বিরুদ্ধে বিজেপি-যোগের জল্পনা দৃঢ় করল। তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগসাজোশ করে চলছেন বলেও অভিযোগ তুলল তৃণমূলের একাংশ। যুব তৃণমূল নেতৃত্ব সরব হল মোহনবাবু বিরুদ্ধে। এদিকে মোহন বসুর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও। ফলে জেলায় তৃণমূল দু-ভাগ হয়ে পড়ে। একদিকে বিধায়ক, বিদায়ী চেয়ারম্যান, অন্যদিকে জেলা সভাপতি-যুব সভাপতিরা। আর এই দ্বন্দ্বে বিজেপিতে শুরু হয় মহোল্লাস।
চিনকে শিক্ষা দিতে প্রস্তুত ভারত! বেজিংকে চাপে ফেলতে লাদাখ পরিদর্শনে রাজনাথ ও সেনাপ্রধান নারভানে
{quiz_196}