ভোট পর্বে মন্ত্রীর কেন্দ্রে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ, প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
দলের মধ্যে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল ভোট চলার সময়ে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকায় শাসকদলের ভোট কমেছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এরপর ওই নেতাকে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের (tr
দলের মধ্যে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল ভোট চলার সময়ে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকায় শাসকদলের ভোট কমেছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এরপর ওই নেতাকে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool congress)। শাসকদলের ওই প্রভাবশালী নেতা দমদমের (dumdum)। তার নাম প্রবীর পাল (prabir pal)।
একটা সময়ে ছিলেন ভরসাযোগ্য
একটা সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরসার জায়গা ছিল প্রবীর পাল। তিনি বিদায়ী পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন। এলাকায় দাপুটে বলেও পরিচিত ছিলেন তিনি। যেই কারণে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
লিড কমতেই ক্ষুব্ধ দল
তৃণমূল সূত্রে খবর, ভোট চলাকালীন সন্দেহের চোখে ছিলেন তিনি। আর ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পরে দেখা যায়, দায়িত্ব পাওয়া দুটি ওয়ার্ডেই আগের থেকে লিড কমেছে। সংখ্যাটা প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০-র মতো। তখন থেকে সন্দেহ আরও বাড়ে। তাঁকে ডেকে কথাও বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের আরও খবর তাঁকে বলা হয়েছিল স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলে এলাকায় ফের কাজ শুরু করতে। যদিও তিনি কারও সঙ্গেও কথা বলেননি বলে জানা গিয়েছে।
শোকজের পাশাপাশি অন্তর্তদন্ত
জানা গিয়েছে, পরবর্তী সময়ে প্রবীর পালকে শোকজ করে তৃণমূল। পাশাপাশি দলীয় পর্যায়ের তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। সেখানেই জানা যায়, ভোটের সময় দলের জন্য কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েননি ওই নেতা। বিষয়টিকে দলের সঙ্গে অসহযোগিতা বলেই মনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে প্রবীর পাল তাঁকে দেওয়া শোকজের চিঠির জবাব দেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই চিঠিতে সন্তুষ্ট হওয়ার বদলে নেতৃত্বের অসন্তোষ আরও বাড়ে।
শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
এরপর আর সময় দেওয়া হয়নি প্রবীর পালকে। স্থানীয় নেতৃত্ব কথা বলেন, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপরেই প্রবীর পালকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের দীর্ঘদিনের নেতা হলেও. প্রবীর পালের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। যেই কারণে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েননি। বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রবীর পাল।
আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, কৃষক-মৎস্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন উপদেশ নবান্নের