চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন মুকুল, ১৫ দিনের মধ্যেই তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলেন যোগ্য ‘জবাব’
মেদিনীপুর নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর বালুরঘাটে বিশাল জনসভা করে মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তৃণমূলকে। ১৫ দিনের মধ্যেই জবাব দিল তৃণমূল।
মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভা তৃণমূল জমাতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। এমনকী এই সভায় তাঁদের সিকিভাগ জমায়েতও করতে পারেনি বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর বালুরঘাটে জনসভা করে মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তৃণমূলকে। ১৫ দিনের মধ্যেই জবাব দিল তৃণমূল।
মুকুলবিহীন প্রথম একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন মুকুল রায় দক্ষিণ দিনাজপুরে সভা করে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। বিশাল জনসভা করে মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, এখন আর তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। ক্ষমতা থাকলে এমন ভিড়ে ঠাসা জনসভা করে দেখাক তৃণমূল।
সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি তারপরেই ডাক দিয়েছিলেন পাল্টা সভার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্রিনিমা ভট্টাচার্যদের এনে তিনি জনসভায় করে দেখিয়ে দিলেন তৃণমূলের ক্ষমতা। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র মুকুল রায়ের চ্যালেঞ্জের উত্তরে বলেন, দেখিয়ে দিলাম তৃণমূলের সঙ্গে লোক আছে কি না। এরপর নিশ্চয় আর চ্যালেঞ্জ করতে আসবেন না বিজেপি নেতারা। এর পরের জবাবটা লোকসভায় পাবে বিজেপি।
মঙ্গলবার বালুরঘাটে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য চাঁছাছোলা ভাষণে বিজেপিকেই নিশানা করে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি দেড় লক্ষাধিকের জমায়েত হয়েছিল। এজন্য যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ফাঁকা ময়দানে গোল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নিজেদেরই মুখ পুড়ল।