তৃণমূলের ‘কেষ্ট’-র অন্য রূপ, রাজনৈতিক বক্তৃতা ছেড়ে গানের ছন্দে ‘একুশে’র প্রস্তুতি
নতুন রূপে কেষ্ট গানের সঙ্গে কোমর দোলান, গানের ছন্দে ছন্দে হাততালি দেন, তালে তালে পা মেলানোর পাশাপাশি হাতে তুড়িও বাজান। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি মঞ্চে এ রূপেই আবির্ভূত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
এ এক অন্য কেষ্ট। কেষ্ট-র এক অন্য রূপ। এ কেষ্ট সহজে রাগেন না, রাজনৈতিক কড়া ভাষণে মঞ্চ মাতান না। ধমকান না, চমকানও না। এই রূপে কেষ্ট গানের সঙ্গে কোমর দোলান, গানের ছন্দে ছন্দে হাততালি দেন, তালে তালে পা মেলানোর পাশাপাশি হাতে তুড়িও বাজান। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি মঞ্চে এ রূপেই আবির্ভূত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
কে বলবে ইনিই সেই দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গুরুগম্ভীর সেই মানুষ। বোলপুরে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা অনুব্রত মাতালেন একেবারে ভিন্ন কায়দায়। বিজেপি বা সিপিএম কাউকেই তিনি আক্রমণ করলেন না। কলঙ্কিনী রাধার গানের ছন্দে ছন্দেই মাতোয়ারা করে দিলেন বোলপুরের মঞ্চ।
এক শিল্পী তৃণমূলের মঞ্চে গাইছিলেন 'কলঙ্কিনী রাধা'র গান। আর সেই গান শুনে বীরভূমের অনুব্রত ওরফে কেষ্ট কী করে বসে থাকেন। তিনিও মঞ্চে শিল্পীর গানের তালে তালে বাহু তুলে কোমর দোলালেন। হাত তালি দিলেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত দর্শকরাও মাতোয়ারা রাধার গান আর কেষ্টর তালে।
শনিবার ২১ জুলাই। কাঁধের উপর অনেক দায়িত্ব, ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চে বীরভূম থেকে নিয়ে যেতে অনেক লোক। সেই কারণেই বুধবার বিকেলে বোলপুরের চৌরাস্তায় কয়েক হাজার কর্মীর জমায়েত হয়েছিল। এক ঘেয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা ছেড়ে একটু অন্যরকম স্বাদ দিতেই এই ব্যবস্থা করেছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। মিছিল হাঁটেন ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রতন মণ্ডল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।