বিধায়ক-খুন মুকুল রায়ের ‘আশীর্বাদে’! শেষ দেখে ছাড়বেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক খুন বলে ব্যাখ্যা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক খুন বলে ব্যাখ্যা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, যেই খুন করুক সত্যকে, সে মুকুল রায়ের 'আশীর্বাদে' খুন করেছে। ওটাকে ছাড়া যাবে না।
এই বলেই গৌরীশঙ্কর হুঁশিয়ারি দেন মুকুল রায়কে। তিনি বলেন, মুকুল রায় নদিয়ায় এলে এমন হাল করব, যা কোনওদিন ভুলবে না। চ্যালেঞ্জ করছি, আমার যে শাস্তিই হোক ওঁকে ছাড়া যাবে না। সবে মাত্র বিয়ে করেছিল ছেলেটা। ও শুধু আমার রাজনৈতিক সহকর্মী ছিল না, আমার ছেলের সমান ছিল। ওর খুনে শেষ দেখে ছাড়ব।
তিনি বলেন, সত্যজিৎ বিশ্বাস এলাকার দাপুটে নেতা, দক্ষ সংগঠক। মতুয়া মহাসংঘের সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল। তাঁর জন্যই বিজেপির মুকুল রায়, শান্তনু ঠাকুররা প্রভাব বিস্তার করতে পারছিলেন না এলাকায়। তাই তাঁকে পরিকল্পনা করে সরিয়ে দেওয়া হল। নদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি দায়ী করলেন বিজেপিকে। তিনি রবিবার লকালেই নদিয়ায় যাবেন বলেও জানান।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। একজন জনপ্রতিনিধি খুন হচ্ছে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে, এ ঘটনা সচরাচর ঘটে না। যে-ই এই ঘটনার নেপথ্যে থাকুক তাঁকে খুঁজে বের করা হোক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক, আমরা সমস্তরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত।
[আরও পড়ুন : তৃণমূল বিধায়ক গুলিতে ঝাঁঝরা, সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান চলাকালীন নৃশংস খুন]
উল্লেখ্য, নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। সেখানেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তৃণমূল বিধায়ক। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।