সারদার এক পয়সাও নেয়নি তৃণমূল, কুণাল ঘোষ কয়েদি-জেল খাটা আসামী, বললেন মমতা
এদিন সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, "সারদা হয়েছে কবে? যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল সারদার থেকে এক পয়সা নেয়নি। আমরাই চোরেদের জেলে পুরেছি।"
অন্যদিকে এদিন কুণাল ঘোষের নাম না করলেও তাঁকে আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা। কুণাল ঘোষ আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর ও সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হলে অনেককিছু জানা যাবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একজন কয়েদী জেল খাটা আসামী বলছে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে। আমরাই তো ওকে জেলে পুরেছি। যখন গ্রেফতার হয়নি তখন বলা হচ্ছিল তৃণমূলের স্নেহধন্য বলে গ্রেফতার হচ্ছে না দোষী সাংসদ। গ্রেফতার হওয়ার পর সেই এখন মহাপ্রভু? নিজেকে বাঁচাতেই এখন যা মনপ্রাণ চাইছে তাই বকছে। প্রমাণ কই?"
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমি যাতে বিনিয়োগ আনতে না পারি এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে যড়যন্ত্র করা হচ্চএ। এমনকী তাঁকে মারারও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। জানিয়ে দেন, সাধারণ মানুষ ছাড়া কারোর দ্বারা আমি নিয়ন্ত্রিত হব না।
সারদা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন। "সারদার টাকা আমার বা আমার দলের কারের প্রয়োজন নেই। তৃণমূল দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ দল। দল চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহে আমি আঁকি, তার জন্যও আবাদ প্রশ্ন তোলা হয় কাকে আমি আমার আঁকা ছবি বিক্রি করেছি। আমি জবাব দিতে বাধ্য নই। আমার বৈঠক নিয়েও মিথ্যা খবর প্রচার করে হচ্ছে।"
মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের পর ফের একবার আক্রমণ নেমেছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস সব রাজনৈতিক দলেরই এক প্রশ্ন, সারদা তদন্তে যদি কোনও ভয় নাই থাকে তিনি বা তাঁর দল যদি সারদা কাণ্ডে জড়িত নাই হয় তাহলে তো সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানানো উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তা না করে তৃণমূলের মহিলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ধরনা দেওয়া কেন? তাতেই তো সন্দেহ আরও বেশি বাড়ছে।