কেএলও পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির মদত! মমতাকে হুঁশিয়ারি তদন্ত দাবি তৃণমূলের
কেএলও পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির মদত! মমতাকে হুঁশিয়ারি তদন্ত দাবি তৃণমূলের
কেএলও বা কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব। রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি হিসেবে তাঁরা প্রশমিত হয়েছেন, তা ভাবা ভুল। এবার পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে তা আবার প্রমাণ করে দিলেন কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহ। সেইসঙ্গে বিজেপিও পক্ষান্তরে সমর্থন করে বসল কেএলও-র দবি।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় কেএলও প্রধান জীবন সিংহ বলেন, ভারতভুক্তি চুক্তি অনুসারে কোচবিহার গ-শ্রেণির রাজ্য। আমরা সেই মোতাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা ও নিশীথ প্রমাণিক এবং বিধায়ক জয়ন্ত রায়ের কাছে পৃথক কোচ কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি করেছি। আর একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি যেন কোচ কামতাপুরে পা না রাখেন। কোনও ব্যাপারে যেন হস্তক্ষেপ না করেন।
এদিন রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কেএলও প্রধান জীবন সিংয়ের মুখে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ ও বিধায়কের প্রতি সমর্থনের বার্তায় তৃণমূল অন্য গন্ধ পাচ্ছে। জীবন সিং দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিধায়কের নাম করে তাঁদের করা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মুখ খোলেন। তৃণমূলের কথায়, বিজেপির সঙ্গে যোগসাজোশ রয়েছে কেএলও-র জীবন সিংয়ের।
তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, বিজেপিও বিভাজনের রাজনীতি করে, তারাই পরোক্ষে মদত দিচ্ছে কেএলওকে। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, অবহেলিত। সে কারণেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গড়ার দাবি অনেকেই করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এদিনই এক ভিডিও বার্তায় কোচ কামতাপুর গঠন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। কামতাপুর লিবারেশনের প্রধান জীবন সিংহ ভিডিও বার্তায় বিজেপির সাংসদদের দাবির সমর্থনও করেন। ফলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের মুখে ফের একবার পৃথক রাজ্যের গাবি উঠে পড়ে।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব কেএলও, কোচ কামতাপুর নিয়ে হুঁশিয়ারি খোদ মমতাকে
জীবন সিংহ এদিন একেবারে নাম করে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কোচ কামতাপুরে পা না রাখেন। গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য আমরা গঠন করবই। নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্য আমরা নিজেরাই গঠন করব। কোচ কামতাপুরের মানুষ নিজেরাই পৃথক রাজ্য তৈরি করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কোচ কামতাপুর রাজ্য গঠনের বিরোধিতা তিনি করতে পারেন না। তাঁর কোনওরকম হস্তক্ষেপ করার অধিকারও নেই। কেএলও প্রধান এরপর বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যদি জোর করে কিছু করতে চান, তবে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। এ জন্য লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। রক্ত বন্যা বইয়ে দিতে কোচ কামতাপুরের মানুষ পিছপা হবেন না।