
দিতে হবে প্রচারের সময়! এছাড়াও একাধিক দাবিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল
বাংলার সাত কেন্দ্রে বিধানসভা উপ নির্বাচন বাকি রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসনও। ছয়মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে তাঁকে। এই অবস্থায় এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
আর এই অবস্থায় ফের একবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের সংসদীয় দল হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তৃণমূল!
বিধানসভা ভোটের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে ২রা মে। পুজোর আগেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্বাচন, কমিশনের তরফে কোনও কিছু জানানো হয়নি। এই অবস্থায় আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লি নির্বাচন কমিশন যাচ্ছে তৃনমূলের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন বেশ কয়েকজন সাংসদ। শাসকদল তৃণমূলের দাবি, আগামী সাত দিন প্রচারের সময় দিয়ে ভোট করানো হোক। এছাড়াও একগুচ্ছ দাবিতে দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্ত হতে চলেছে তৃনমূল।

প্রস্তুতি শুরু কমিশনের
নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল, দুই রাজ্যসভা নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে কি না বাংলায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য জানিয়ে দেয়, শুধু দুটি রাজ্যসভা নয়, সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। তারপরই সাত কেন্দ্রে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ইভিএম পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ইভিএম দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর-সহ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ইভিএম মেশিনের ডেটা ডিলিট শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে খুশি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পর কমিশন যে তৎপর হয়েছে, তাতেই মনে হচ্ছে এবার উপনির্বাচন হতে পারে।

রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের শেষ লগ্ন থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। ফলে স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্রে ভোট এবং শূন্য আসনে ভোট নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। রাজ্য সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলায় করোনা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। দ্রুত ছন্দে ফিরছে বাংলা। ফলে রাজ্যে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, বাংলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্যে করোনা সক্রিয়ের হার ছিল ৩৩ শতাংশ। আর এখন করোনা সক্রিয়ের হার ৩ শতাংশ। রাজ্যসভার দুটি আসন ছাড়াও বিধানসভার সাতটি আসনেও উপনির্বাচনের পরিবেশও রয়ছে। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, রাজ্যে উপনির্বাচনের জট কাটতে পারে এবার।

কোন কোন সাতটি কেন্দ্র উপনির্বাচন
রাজ্যে সাতটি কেন্দ্র শূন্য রয়েছে। এই সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। এই দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভবানীপুরে কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর ভোটের ফল প্রকাশের আগেই মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। তিনিই বিজয়ী হন। ফলে েই আসনটিও শূন্য। আর বিধায়ক নির্বাচিত হয়েই ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ শান্তিপুর থেকে জগন্নাথ সরকার এবং দিনহাটা থেকে নিশীথ প্রামাণিক। গোসাবা কেন্দ্রটি সম্প্রতি শূন্য হয়েছে বিধায়কের মৃত্যুতে।