নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন মোদী-শাহ, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের
নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন মোদী-শাহ, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের
এবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (election commission) সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) এবং অমিত শাহের (amit shah) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress) । তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধিভঙ্গে অভিযোগ আনা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এদিন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনে।
আহমেদাবাদের রকবাজ মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে সভা করলেই, সেইসব সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে দিদি কিংবা আদরনীয় দিদি বলে সম্বোধন করে। আর মোদী দিদি বলে সম্বোধন করলেই সভায় আসা মানুষজন হাতেতালি দেন। যা নিয়েই আপত্তি তৃণমূল কংগ্রেসের। ঘাসফুল শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে সম্বোধন করছেন, তা অপমানজনক। এদিন দিল্লিতে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্র মোদী যেভাবে দিদি বলে সম্বোধন করছেন, তা আহমেদাবাদের কোনও রকবাজের ভাষা।
মোদীর বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর
এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে আগেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গল সিটিজেন ফোরাম নামে এক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ, দিদি সুরে ডাকে বিভিন্ন জায়গায় ইভটিজিং বেড়েছে। তাদের অভিযোগ কটূক্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মহিলারা। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্তা করছেন তা অপমানজনক।
নির্বাচনী প্রচারে বিভেদ তৈরির অভিযোগ
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। উত্তেজক বিবৃতিও দিচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূলের তরফে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ এপ্রিল কল্যাণীর সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী মতুয়া আর নমশূদ্র সম্প্রদায়ের জন্য এই সরকার কিছুই করেনি। পাশাপাশি ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার পরে শিলিগুড়িতে করা সভায় প্রধানমন্ত্রী গুলি চালনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন, মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন এই গুলি চালনার জন্য। পাশাপাশি ১১ এপ্রিল শান্তিপুরের সভায় অমিত শাহ শীতলকুচিতে মৃত আনন্দ বর্মনের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজবংশী সমাজের হওয়ায় আনন্দ বর্মনের জন্য চোখের জল ফেলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, অমিত শাহের সেই দাবি মিথ্যা।
কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে বলেন, আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক নির্বাচন কমিশন।