দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর, ভোটের আগে বহিষ্কার করল তৃণমূল
দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর, ভোটের আগে বহিষ্কার করল তৃণমূল
দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করে গোঁজ প্রার্থীর হয়ে প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুরসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বহিষ্কার করল দল। বিধাননগর পুরসভার গত বোর্ডে কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বহিষ্কৃত ওই নেতা আজিজুল মণ্ডল। চার বছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় আজিজুলকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। জেলা সভাপতি জানান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন আজিজুল। তাঁর ওয়ার্ডটি এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সেলিমা বিবি মণ্ডলকে। কিন্তু আজিজুল এখানে তাঁর এক আত্মীয়াকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে তাঁর হয়ে প্রচার করছেন। তাই দলবিরোধী কাজ করার জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হল।
২০১৫ সালে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতেছিলেন আজিজুল রহমান। তিনি ২০১৮ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০২০-তে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনিই কো-অর্ডিনেটর নিযুক্ত হন। কিন্তু ভোট ঘোষণার পর তিনি বেসুরো বাজতে শুরু করেন। তার ফলশ্রুতিতেই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা সভাপতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আজিজুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজিজুল জানান, আমি বাড়িতেই রয়েছি। শরীর খারাপ তাই প্রচারে বের হইনি। আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু আমি কিছু জানি না। আমার ভ্রাতৃবধূ মমতা মণ্ডল ভোটে দাঁড়িয়েছে। তাঁর হয়ে আমি প্রচারে চাইনি। কেন এমন কথা বলা হচ্ছে জানি না।
আজিজুল বলেন, মমতা মণ্ডল নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ভোটে জিতলে সে তৃণমূলেই যোগ দেবে। এই ওয়ার্ডে আরও একজন তৃণমূলকর্মী নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলকর্মী তথা নির্দল প্রার্থী মিঠু পাল পোদ্দারের স্বামী অনিল পাল পোদ্দার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়াড়া এলাকার পুরনো নেতা। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা থাকাকালীন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত কাউন্সিলরও ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে অলিন পাল পোদ্দারের দাবি, আমরা দলের পুরনো কর্মী। কিন্তু আমাদের কথা দল ভাবেনি। দলের এখন একটা টিকিটের বহু দাবিদার। তাই দল আমাদরে দিকে তাকায়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়েছিল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, আজিজুলকে বহিষ্কার করা হল। অথচ কেন বহিষ্কার করা হল না অনিল পাল পোদ্দারকে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, অনিলরা ততটা সক্রিয়ভাবে প্রচারে তৃণমূলের বিরোধিতা করছে না। অন্তত তেমন কোনও অভিযোগ দল পায়নি।