রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে সুস্মিতা দেবকে, তৃণমূলে যোগ দিয়েই গুরুদায়িত্বের পর গুরুত্বশালী পদও
কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রীর পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। তারপরই পেয়েছিলেন গুরুদায়িত্ব। এবার তাঁকে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্বশালী পদ। সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রীর পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। তারপরই পেয়েছিলেন গুরুদায়িত্ব। এবার তাঁকে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্বশালী পদ। সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে থেকে টুইট করে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার।
গুরুদায়িত্বের পর সুস্মিতা দেব পেয়ে গেলেন পদও
তৃণমূলে যোগ দিয়েই শিলচরের জনপ্রিয় নেত্রীকে ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুস্মিতা দেবকে। ত্রিপুরার পাশাপাশি অসমের ভারও তাঁর হাতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মাস কাটতে না কাটতেই সুস্মিতা দেব পেয়ে গেলেন পদও। এবার তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
|
মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভায় সুস্মিতা
আগামী ৪ অক্টোবর রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসন শূন্য রয়েছে। মাস দেড়েক আগে অন্য একটি রাজ্যসভার আসনে পাঠানো হয়েছে জহর সরকারকে। প্রাক্তন আইএএস প্রসার ভারতীর সিইও পদে ছিলেন। তাঁকে দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে পাঠানো হয়েছিল। এবার মানস ভুইঁয়ার জায়গায় মনোনয়ন পেলেন সুস্মিতা।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভায় মনোনীত
রাজ্যসভার আসন ছেড়ে সবং থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন মানস ভুঁইয়া। তিনি বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রীও। তিনি রাজ্যসভার আসনে ইস্তফা দেওয়ার পর এই আসনটি ফাঁকা হয়েছিল। তাই তাঁর জায়গায় কাকে পাঠানো হবে রাজ্যসভায়, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বেছে নেন রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে।
যশবন্ত সিনহা থেকে শুরু করে শত্রুঘ্ন সিনহার নাম ছিল চর্চায়
একুশের বিধানসভা নির্বাচনীকালে যে দুটি আসন ফাঁকা হয়েছিল, তা আপাতত পূরণ হয়ে গেল। এর আগে দুটি আসনে রাজ্যসভার সাংসদ পদে অনেক নাম ঘোরাফেরা করছিল। সেই তালিকায় ছিলেন যশবন্ত সিনহা থেকে শুরু করে শত্রুঘ্ন সিনহা। যশবন্ত সিনহা সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর শত্রুঘ্ন সিনহা এখনও কংগ্রেসে।
মুকুল থেকে কুণাল, রাজ্যসভার প্রার্থীর লড়াইয়ে ছিলেন পূর্ণেন্দুও
শুধু যশবন্ত সিনহা বা শত্রুঘ্ন সিনহা নন, তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাওয়ার তালিকায় নাম ছিল মুকুল রায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষের। এমনকী পূর্ণেন্দু বসুর নামও শোনা যাচ্ছিল। মুকুল রায় তৃণমূলে য়োগ দেওয়ার পর এখনও কোনও নির্দিষ্ট দায়িত্ব পাননি, পাননি কোনও গুরুত্বের পদও। তিনি একটা সময়ে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তৃণমূলের। ফলে তাঁকে আবার রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল, এমনটা মনে করেছিল তৃণমূল।
জহর সরকারের পর সুস্মিতা দেব রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রার্থী
আর বর্তমানে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁকেও রাজ্যসভায় ফের পাঠানো হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আর রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে এবার বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হয়নি। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন মমতা, এমনটাও মনে করা হয়েছিল। তা অবশ্য হয়নি, জহর সরকারের পর সুস্মিতা দেবকে বেছে নেওয়া হয় রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রার্থী হিসেবে।