ক্ষমতা কার, গোষ্ঠী-লড়াই থামাতে সব কমিটি ভেঙে দিল তৃণমূল কংগ্রেস
ক্ষমতার জাহির করতে গিয়ে দিন দিন গোষ্ঠীবাজি বাড়ছে। লড়াই তীব্র হচ্ছে শাসকদলের অন্দরে। সেই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। মাসাবধি কাল একটা না একটা ইস্যুতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠছে বাসন্তীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এবার তাই রাশ টেনে ধরলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:মোদীকে হারিয়ে দিলেন মমতা, দেশ-সেরা মুখ্যমন্ত্রীর তকমা বাংলার অগ্নিকন্যার নামের পাশে]
বারবার নির্দেশ দিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে পারেননি। এবার মমতা নির্দেশ দিলেন জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নির্দেশ দিলেন বাসন্তীর সমস্ত কমিটি, সাব কমিটি ভেঙে দেওয়ার। ক্ষমতা জাহিরের পালা বন্ধ করতেই এই দাওয়াই দেওয়া হয়েছে। তবু প্রশ্ন, এই ওষুধ কাজ করবে তো? আর যদি ব্যর্থ হয়, তখন কী উপায় হবে?

বাসন্তীতে কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে লড়াই তীব্র হয় বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি আবদুল মান্নার গাজী ও ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি আমানুল্লা লস্করের। সেই লড়াই শুধু রাজনৈতিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি। অর্থাৎ তৃণমূলের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অনাস্থা আনাতেই শেষ হয়নি। ভোটাভুটিতে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই শুরু হয় বোমা-গুলির লড়াই।
এলাকায় কান পাতা দায়। টানা চারদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দুই গোষ্ঠীর দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছে। বোমাবাজি চলছে, থামেনি সংঘর্ষ। পুলিশও ব্যর্থ এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। শেষমেশ তাই রাশ টানতে জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, গোষ্ঠী কোন্দল থামাতেই দলনেত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি আবদুল মান্নার গাজী ও ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি আমানুল্লা লস্কর কোনও পদে রইলেন না। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।