উপনির্বাচনে প্রচারে টার্গেট দেবশ্রী! এনআরসির পাশাপাশি উন্নয়নই মূল হাতিয়ার তৃণমূলের
জমে উঠেছে উপনির্বাচনের ভোট-প্রচার। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এবার জিততে মরিয়া তৃণমূল এখানে এনআরসিকেই মূল ইস্যু করেছে।
জমে উঠেছে উপনির্বাচনের ভোট-প্রচার। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এবার জিততে মরিয়া তৃণমূল এখানে এনআরসিকেই মূল ইস্যু করেছে। সেইসঙ্গে বিজেপিকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকেও একহাত নিয়েছেন। উন্নয়ন প্রসঙ্গে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রচারে যাওয়া তৃণমূল নেতারা।
কালিয়াগঞ্জ ছিল কংগ্রেসের দখলে। সেখানে এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপি। একে অপরের বিপক্ষে শাণিত বাক্যবাণ ছুঁড়ে দিচ্ছে। এরই মধ্যে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল পর্যবক্ষেক রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি প্রধান এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন।
তিনি বলেন, বিজেপি এ রাজ্যে এনআরসি লাগু করে রাজবংশী, সংখ্যালঘু-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশছাড়া করতে চাইছে। আমরা এই অভিষন্ধি রুখবই। সেইসঙ্গে এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার ঘটাব। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি উন্নয়নের জন্য কিছুই করবে না। তাহলে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর একটা ভূমিকা থাকত। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত চোখে পড়েনি কালিয়াগঞ্জবাসীর।
এদিন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচারে ঝড় তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। গোলাম রব্বানি থেকে শুরু করে রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, বিধায়ক খগেশ্বর রায়-রা কর্মিসভা করেন। প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরেও প্রচার চালান। উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালও কালিয়াগঞ্জে প্রচারে ঝড় তোলেন।
এদিকে দেবশ্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডন করে বিজেপির জেলা সম্পাদক অসীম চন্দ বলেন, গত ছ-মাসে দেবশ্রীর সাংসদ কোটার ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে রাস্তাঘাট, শ্মশানঘাট, পানীয় জল ভন নির্মাণে। মোট ৩৩টি উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সাংসদ-মন্ত্রী যা কথা দিয়েছিলেন, সমস্ত প্রতিশ্রুতিপূরণের লক্ষ্যে নেমেছি আমরা।