সারদা কেলেঙ্কারিতে একে অপরের গায়ে কাদা ছুঁড়েই নির্বাচনে ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল-সিপিএম
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, সারদা কেলেঙ্কারির টাকা কোথায় গেল? কারা এই কেলেঙ্কারি থেকে লাভবান হলেন? কেনই বা তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই তদন্তের বিরোধীতা করছেন? কীসের ভয় পাচ্ছেন শাসক দল? প্রশ্ন তোলেন বুদ্ধবাবু। প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে এভাবেই সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দায় মুখর হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, মমতার অভিযোগ বাম আমলেই রাজ্যে এই ধরণের চিটফান্ড ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে থাকে। মমতা প্রশ্ন তোলেন, বাম সরকারের অর্থমন্ত্রী কার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকায় নিজের প্রচার চালিয়েছিলেন? এদিন তারকেশ্বরে এক জনসভায় গিয়ে বিগত রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। আমাদের সরকারের আমলেই তো সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত একজনকে তো ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তের জন্য একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনও গঠন করা হয়েছে। যারা এই চিটফান্ড ব্যবসার জন্য প্রতারিত হয়েছেন, তাদের টাকা ফেরতের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যদি সিবিআই তদন্তে সায় দেন তাহলেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে: বুদ্ধদেব
সারদা নিয়ে অনেক কথা বললেও, এদিন সিপিএমের সিবিআই তদন্তের দাবী নিয়ে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতার অবিযোগের পাল্টা জবাব দেন বুদ্ধদেব। তিনি বলেন, বাম আমলে সারদা গোষ্ঠী কাজ শুরু করেছে তাতে কী? এতে কী আমাদের দোষী সাব্যস্ত করা যায়? অনেককিছুই বাম আমলে শুরু হয়। আবার অনেক কিছুই বাম আমলেই শেষ হয়েছে। বুদ্ধদেব এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, শাসক দল সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে কমিউনিস্টদের যোগ প্রমাণ করে দেখান।
বুদ্ধদেব বলেন, আমাদের কিছু লোকানোর নেই। শুধুমাত্র সিবিআই তদন্তই এই ভ্রান্ত অভিযোগের সত্যতার উপর আলোকপাত করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তে রাজি থাকলেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বুদ্ধবাবু। তাঁর পাল্টা অবিযোগ, যাদের কিছু গোপন করার আছে তারাই এধরণের বাহানা করেন।
শুধু সারদা মামলাই নয়, নির্বাচন কমিশনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাক্যবাণ দিয়ে আক্রমণ করেন তারও তীব্র বিরোধিতা করেছেন বুদ্ধবাবু। কী করে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে এভাবে কটু আক্রণম করেন? তা সংবিধান বিরুদ্ধ। আমি আমার মুখ্যমন্ত্রী দীবনে কখনও কমিশন প্রসঙ্গে এধরণের শব্দ প্রয়োগ করিনি বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।