বয়সে ছোট অভিষেককে দেখে পা কাঁপছে ‘রাজনীতিক’ শুভেন্দুর, ব্যক্তি নিশানার পাল্টা তৃণমূল
বয়সে ছোট অভিষেককে দেখে পা কাঁপছে ‘রাজনীতিক’ শুভেন্দুর, ব্যক্তি নিশানার পাল্টা তৃণমূল
বিজেপির কর্মিসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ বললেও সঠিক বলা হয় না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃ পরিচয় তুলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
আক্রমণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং কুৎসিতও
সোমবার তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছেন না, সে কারণেই ব্যক্তিগত কুৎসিত আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর থেকেই বিজেপি আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছে, সেই আক্রমণ আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে তুলেছে।
অভিষেককে আক্রমণ, পাল্টা তৃণমূল
সম্প্রতি এক কর্মিসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। শুভেন্দু অধিকারীর পিতৃ পরিচয় নিয়ে কটাক্ষ করেন। তার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দুকে জবাব দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
ব্যর্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক কটাক্ষ
শশী পাঁজা এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যর্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের জয় স্বাভাবিক নয়। তবু একজন রাজনীতিকের মানসিকতা কেন এত বিকৃত হবে। আমা ভাবতে পারি না, একজন রাজনীতিকের মানসিকতা কেন এত বিকৃত। অভিষকেক সন্তানের মতো বলে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, অভিষেককে কদর্যভাষায় এই আক্রমণ বাংলার মানুষ সমর্থন করবে না।
অভিষেককে দেখে পা কাঁপছে শুভেন্দুর
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু যে অভিষেককে ভয় পাচ্ছেন, এটা স্পষ্ট তাঁর অশালীন ভাষণেই। আসলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছেন মেদী-শাহ থেকে শুরু করে শুভেন্দু-সুকান্তরা। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেককেও আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাঁর দাবি, বয়সে এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও অভিষেককে দেখে পা কাঁপছে শুভেন্দুর। তাই মুখে অশালীন বাণী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হওয়া কি দোষের
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, অভিষেকের একটাই দোষ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় হওয়া কি দোষের? শুভেন্দু নিজেও রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তা সত্ত্বেও তিনি অশালীন ভাষায় অভিষেককে আক্রমণ করে চলেছেন। এটা তাঁর নিম্নরুচির পরিচয়।
তরজা পৌঁছে গিয়েছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে
উল্লেখ্য, বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর থেকেই তৃণমূল ও বিজেপির তরজা বহুল পরিমাণ বেড়েছে। সেই তরজা পৌঁছে গিয়েছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। এক্ষেত্রে তা শালীনতার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু তা না করে ব্যক্তিগত নিশানা করে চলেছেন দু-পক্ষই।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত: ইডি