তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই কাউন্সিলরদের, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল বসিরহাট পুরসভায়। বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল বসিরহাট পুরসভায়। বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা। সোমবার বসিরহাট পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তপন সরকারের অপসারণের দাবিতে ১২ জন কাউন্সিলর অনাস্থা পেশ করে মহকুমা শাসকের কাছে।
এদিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারণ দাবি করেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। রাজনৈতিক মহল মন করছে এর পিছনে হাত রয়েছে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের। দীর্ঘদিন ধরেই বসিরহাট পুরসভার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। একদিকে চেয়ারম্যান অন্যদিকে বিধায়ক। চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিধায়কের বহু ক্ষেত্রেই অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা যায়।
চেয়ারম্যান দাবি করেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান তপন সরকারের সুনাম রয়েছে এলাকায়। দলেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সেটাই যেন প্রথম থেকে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তপনবাবুর। চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূলের উর্ধতন নেতৃত্বের কাছে তা জানিয়েও ফল হয়নি। উপরন্তু চেয়ারম্যানের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন কিছু কাউন্সিলর।
বসিরহাট মহকুমা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ইতি টানতে লোকসভার প্রার্থী হিসেবে নুসরত জাহানকে বেছে নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে দাঁড়িয়ে বসিরহাটের সাংসদ নির্বাচিত হন নুসরাত। কিন্তু সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের বেরিয়ে পড়ল ভোট মিটতেই।
উল্লেখ্য, বসিরহাট পুরসভার মোট ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসের। বাকি ৭ জন বিজেপি ও কংগ্রেস কাউন্সিলর। এদের মধ্যে ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার তৃণমূল চেয়ারম্যান তপন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন।