তৃণমূলের ভাঙন রুখতে নয়া ভাবনা, জেলা পরিষদের কর্তৃত্ব রক্ষায় আইন পর্যালোচনা
চিরদিন কাহারো সময় নাহি যায়...। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদের ঘর ভেঙে সমস্ত প্রতিষ্ঠান দখল করে নিচ্ছিল। এমনি করেই অধীর, গণি ও প্রিয়-গড়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
চিরদিন কাহারো সময় নাহি যায়...। এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদের ঘর ভেঙে সমস্ত প্রতিষ্ঠান দখল করে নিচ্ছিল। এমনি করেই অধীর, গণি ও প্রিয়-গড়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার নিজেরাই ভাঙনের মুখে। সেই ভাঙনের প্রকোপে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদই হাতছাড়া হতে বসেছে। জরুরি সভা তলব করে শেষ রক্ষার চেষ্টা তৃণমূলের।
আস্থা ভোটেই প্রমাণ হবে জেলা পরিষদ কার
দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাপরিষদের ক্ষমতা ধরে থাকতে জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, জেলপরিষদ তাদেরই রয়েছে। যতই বিজেপি দাবি করুক, তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করে জেলা পরিষদ তাঁদেরই। আস্থা ভোট হলেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে।
১০ সদস্যের বিজেপিতে যোগদানের পর জল্পনা
সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ১০ জেলা পরিষদ সভাপতিও বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি বিজেপির। আর চারজন সদস্য তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলেও দাবি করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জরুরি বৈঠকে উল্টো দাবি
উল্লেখ্য, ১৮ আসনবিশিষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদের সভাপতি-সহ ১০ সদস্য বিপ্লব মিত্রের নেতৃত্বে যোগদান করেন বিজেপিতে। কার্যত জেলাপরিষদের কর্তৃত্ব বিজেপির হাতে চলে যায় তখনই। এরপরই জেলা নেতৃত্বে ও জেলা পরিষদের বাকি সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন বর্তমান জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।
জেলা পরিষদের নতুন নেতা নির্বাচিত
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলপরিষদের সহকারী সভাধিপতি লতিতা টিগ্গা ও সাতজন সদস্য। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী, রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা এবং আইটিটিইউসির জেলা সভাপতি মজিরউদ্দীন মণ্ডল প্রমুখ। জেলপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর রায়কে দলনেতা মনোনীত করা হয়েছে।
আইন পর্যালোচনা করে কর্তৃত্ব কায়েমের চেষ্টা
পাশাপাশি পঞ্চায়েত আইন পর্যালোচনা করেও দেখা হয়েছে কীভাবে জেলাপরিষদের কর্তৃত্ব স্থাপন করা যায়। বৈঠক শেষে অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিজেপি নেতারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ তারা দখল করে নিয়েছে। তাঁর দাবি, যে দশজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই জেলায় ফিরে আবার তৃণমূলের যোগ দিতে চলেছেন।
পাল্টা দাবিতে বিজেপির হুঙ্কার তৃণমূলকে
বিজেপি জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে। তিনি বলেন, তাঁদের দিবাস্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে। জেলা পরিষদের দখল তাঁদের হাতেই উঠছে। ১০ জন তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন, বাকিরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শীঘ্রই। তাঁরা নিত্য যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে।