বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে মোদী থাকলেও নেই মুখ্যমন্ত্রী! বিজেপির অভিযোগের কড়া জবাব মমতার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) এদিন বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। কিন্তু অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (bjp)। যদিও এর জবাব দিয়েছেন তৃণমূল (trinamool congress) সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ।

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে আচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথের সময়ে ঠাকুরবাড়িঅনেকেই বলছেন, যেভাবে বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধেছিল তৃণমূল, এদিন মোদী তারই জবাব দিলেন। সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী কাঁধে শাড়ির আঁচল অনুসরণের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ক্ষুধিত পাষণের একটা অংশ গুজরাতে বসে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য মুখ্যমন্ত্রীকে পিসি বলে সম্বোধন করে, টুইটে বিশ্বভারতীর একটি চিঠি জুড়ে দিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে চিঠিটি লেখা ৪ ডিসেম্বর। তিনি সে কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বিশ্বভারতী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে রাজনীতিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথকে এভাবে অপমান করেননি। তাঁর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর এই মানসিকতা, বাংলাকে আরও অন্ধকারের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

জবাব ব্রাত্য বসুর
এদিন দুপুরে তৃণমূল ভবনে করা সাংবাদিক সম্মেলনে এর জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি দাবি করেন, বিশ্বভারতীর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই সময় সাংবাদিকরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি কি ভুয়ো। এব্যাপারে উত্তর দিতে গিয়ে মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ওই চিঠির কি কেউ প্রাপ্তি স্বীকার করেছে, নবান্নে কি চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে? উপাচার্যের প্রতি কটাক্ষ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, নিজেই সই করে, চিঠিটা রেখে দিয়েছিলেন কিনা? সেই সময় আবার সাংবাদিকরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আগের রাতে ফোন করে অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছিল। বিষয়টির জবাব দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায় না।

জবাব মুখ্যমন্ত্রী
এদিন বিকেলে নিজের অনুপস্থিতি নিয়ে জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তারা পছন্দ করেন না। যখন দরকার ছিল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট! কোন সিদ্ধান্তে সিলমোহর কংগ্রেস হাইকমান্ডের, জানালেন অধীর চৌধুরী