মমতার গড়ে চূড়ান্ত লড়াই, বিজেপিকে মাত দিতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত তৃণমূলের
মমতার গড়ে চূড়ান্ত লড়াই, বিজেপিকে মাত দিতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত তৃণমূলের
এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত কেন্দ্র হল ভবানীপুর (bhawanipur)। কেন্দ্র গঠন হওয়ার পর থেকে পরপর দুইবার এই কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। আর এবারে তিনি সরে গিয়েছেন নন্দীগ্রামে। বিজেপির (bjp) তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে হারের ভয়েই কেন্দ্র বদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্র জিততে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress) ।
আত্মবিশ্বাসী শোভনদেব
রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছেন রাসবিহারী থেকে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। তবে এই কেন্দ্র থেকে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, জেতার ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। অনেক বেশি ভোটে তৃণমূল ভবানীপুর থেকে জয়ী হবে।
তৃণমূলের পরিকল্পনা
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত লড়াইয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি এলাকায় দুয়ারে সরকার এবং আম্ফান এবং করোনায় পরিষেবা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলররা মাসে দুবার করে ৩০ কেটি করে রেশন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তৃণমূল চাইছে এলাকার বাঙালি ভোটারদের ১০০ শতাংশকে বুথে নিয়ে যেতে। পাশাপাশি অবাঙালি ভোটারদের মধ্যে মোদী বিরোধিতাকে উসকে দিতে চাইছে তারা। এরজন্য আলাদা করে তালিকা তৈরি করেছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি ভবানীপুরের ২৬৯ টি বুথের মধ্যে যেসব বুথের ফলাফল ৫০-৫০ হয়েছিল সেগুলিকে আলাদা করে মার্কিং করা হয়েছে। আর অভিজ্ঞ শোভনদেব এমনভাবে পরিকল্পনা করছেন, যাঁতে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে থাকা ক্ষোভ হার মানছে। তৃণমূলের দাবি এই কেন্দ্র থেকে তারা জিতবেই।
বিজেপির পরিকল্পনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি অবশ্য এই কেন্দ্রে জিততে ভর করে রয়েছে এলাকার অবাঙালি ভোটারদের ওপরে। তারা যদি নির্বাচনের দিন বহুতলগুলি থেকে নেমে ভোট দেন তাহলে পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হতে পারে। বিজেপির টার্গেটে রয়েছে ৬৩, ৭০, ৭৪, ৭১, ৭২ এবং ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়াও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা প্রায় সাড়ে সাত হাজার গুজরাতি পরিবার তাদেরকেই ভোট দেবে বলে আশাবাদী বিজেপি শিবির। এর মধ্যে ৬৩ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার ভোটার তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দিতে পারে।
ভবানীপুরে ভোটের ব্যবধান ক্রমশ কমেছে
২০১১-তে ভবানীপুর থেকে যে ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন, ২০১৬-তে সেই ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। আর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর ব্যবধান ছিল খুবই সামান্য। ওয়ার্ডের নিরিখে আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছটিতে এগিয়েছিল বিজেপি।
৩০ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারে বিজেপি চাণক্য, যোগীর পর শাহকে এনে মাস্টারস্ট্রোক দিতে চান শুভেন্দু