রানাঘাটের রাইস মিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর! পুলিশের তথ্য তুলে ধরে দাবি তৃণমূলের
রানাঘাটের হবিবপুরের রাইস মিল নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। এদিন ফেসবুক পোস্ট করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
রানাঘাটের হবিবপুরের রাইস মিল নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। এদিন ফেসবুক পোস্ট করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ রাইস মিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণবন্টন ব্যবস্থার সঙ্গেই যুক্ত। বিজেপির নাম না করে, প্রাথমিক তথ্য যাচাই না করেই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল।
স্থানীয়দের একাংশ ও বিজেপির অভিযোগ
হবিবপুরে
শ্রীকৃষ্ণ
রাইসমিলের
ভিতরে
লরি
ভর্তি
সরকারি
চাল।
এছাড়াও
গোডাউনের
ভিতরে
সরকারি
চাল
রয়েছে।
যা
কিনা
অন্য
বস্তায়
ভরার
কাজও
চলছিল।
বস্তার
গায়ে
রয়েছে
স্বচ্ছ
ভারত
মিশনের
লোগো।
পরিস্থিতি
সাধারণ
মানুষের
সামনে
আসার
পরেই
উত্তেজনা
ছাড়ায়।
রানাঘাটের
সাংসদ
জগন্নাথ
সরকারের
অভিযোগ
এর
পিছনে
দুর্নীতির
চক্র
জড়িয়ে
রয়েছে।
তিনি
অভিযোগ
করেছেন
এফসিআই-এর
অর্ডার
নিয়ে
বর্ধমানের
নিউ
মনসা
মাতা
ফুড
থেকে
চাল
কিনে
বিক্রি
করা
হয়েছে
শ্রীকৃষ্ণ
রাইস
মিলে।
ওই
গোডাউনে
সরকারি
চালে
ভেজাল
মেশানো
হচ্ছে
বলে
অভিযোগ
করেছেন
তিনি।
খবর
পেয়েই
ঘটনাস্থলে
যান
রানাঘাট
১
ব্লকের
বিডিও
এবং
রানাঘাটের
সাংসদ।
বিডিও
প্রশাসনিক
তদন্তের
আশ্বাস
দিলে
পরিস্থিতি
স্বাভাবিক
হয়।
পুলিশের দাবি
পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনার তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সেই রিপোর্ট টুইটারে আপলোড করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে পুলিশ এসডিও-র থেকে ঘটনার রিপোর্ট নিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শুক্রবারই শ্রীকৃষ্ণ রাইস মিল বাদকুল্লার মালক্ষ্মী ভাণ্ডার থেকে ৫০x৫০০ ব্যাগ চাল কেনে। মিলের মালিক দাবি করেছেন, চাহিদা বেশি থাকায় ওইদিন সকালেই সেই চাল কেনা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া খবরকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি
পুলিশের রিপোর্টকে ভিত্তি করে তৃণমূলের দাবি, শ্রীকৃষ্ণ রাইস মিল রাজ্য সরকারের গণবন্টন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে তার গুদামে রেশনের চাল রয়েছে। পাশাপাশি তারা আরও দাবি করেছে, হঠাৎ চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে চাল কেনে ওই রাইস মিল। সেখানে বলা হয়েছে যদি গণবন্টন কিংবা এফসিআই-এর চালের ব্যাগই হত তাহলে সেখানে ২০১৯-২০ ছাপ মারা থাকত। কিন্তু সেখানে রয়েছে ২০১৮-১৯-এর ছাপ। রাজ্য সরকারকে অসম্মান করার জন্যই প্রাথমিক তথ্য যাচাই না করেই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল।