বনগাঁয় অনাস্থা নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি! জয়ী হয়েছেন তারাই, জানালেন তৃণমূলের পুরপ্রধান
হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে নাটকীয় পরিস্থিতি বনগাঁয়। অপহরণে অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপির তরফে দুই কাউন্সিলরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ দেখানো হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে নাটকীয় পরিস্থিতি বনগাঁয়। অপহরণে অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপির তরফে দুই কাউন্সিলরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ দেখানো হয়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন তা প্রথমে মানতে চায়নি বলে অভিযোগ। পরে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য জানান, সময়মত বিজেপির কেউ আসেনি। পরবর্তী সময়ে ১০-৯-এ জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দাবি করেন তিনি।
বিজেপির ২ কাউন্সিলরকে নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি
২
কাউন্সিলরের
বিরুদ্ধে
অপহরণের
অভিযোগ
ছিল।
তাঁদের
বিরুদ্ধে
গ্রেফতারি
পরোয়ানা
জারি
করা
হয়েছিল।
কিন্তু
হাইকোর্ট
আগেই
নির্দেশ
দিয়েছিল
এদিন
আস্থাভোট
নেওয়া
হবে
সেখানে।
তার
জন্য
ওই
দুই
বিজেপি
কাউন্সিলরের
ভোটদান
জরুরি
ছিল।
এই
পরিস্থিতিতে
আদালতের
তরফে
দুই
কাউন্সিলর
যাতে
অনাস্থা
ভোটে
অংশ
নিতে
পারেন
তার
জন্য
অন্তবর্তী
নির্দেশ
জারি
করা
হয়।
এক
সপ্তাহের
জামিন
দেওয়া
হয়
তাদের
জন্য।
এই
নির্দেশ
পাওয়ার
পরও
প্রশাসনের
তরফে
দুই
কাউন্সিলর
হিমাদ্রি
মণ্ডল
এবং
কার্তিক
মণ্ডলকে
পুরসভায়
ঢুকতে
দিতে
গড়িমসি
করে
বলে
অভিযোগ।
যার
জেরে
এলাকায়
উত্তেজনা
ছড়ায়
এলাকায়।
পুরসভার
কাছে
বিভিন্ন
রাস্তায়
গার্ডরেল
দিয়ে
দুপক্ষের
সমর্থকদের
আটকে
দেওয়া
হয়।
অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে বাধা
বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ প্রশাসন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনাস্থায় বাধা দিচ্ছে। হাইকোর্টের অর্ডারের কপি সঙ্গে থাকলেও তাদের আটকে দেওয়া হয়। বনগাঁ পুরসভার ভিতরে নয়জন বিজেপি কাউন্সিলরকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সংখ্যাগরিষ্ঠাতা থাকা সত্ত্বেও অধিবেশন কক্ষে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আটকে রাখার ঘটনা তাঁরা ভিডিও কল করে বাইরে দেখান। জোর করে তৃণমূল বোর্ড দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বনগাঁর পুরসভায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান
বনগাঁ পুরসভায় আসন সংখ্যা ২২। ২০ জন ছিলেন তৃণমূলের। ১ জন করে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর। দিল্লি গিয়ে ১২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ৮-এ নেমে গিয়েছিল। শম্পা মহান্ত দলে ফিরে তৃণমূলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯-এ। এদিন এক কংগ্রেস কাউন্সিলরসহ সমর্থন নিয়ে দশজন তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন বলে জানা গিয়েছে।