লালপার্টি ছেড়ে ‘গেরুয়াধারী’ লক্ষ্মণ এখন কংগ্রেসে, ‘গিরগিটি’ কটাক্ষ দিব্যেন্দুর
লাল ঝান্ডা হাতে একটা সময় চষে বেড়িয়েছেন মাঠ-ঘাট। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হলদিয়ার বেতাজ বাদশা হিসেবে। কিন্তু আজ আর সেদিন নেই। চিরদিন যে কারও সময় সমান যা না, তা লক্ষ্মণ শেঠকে দেখলেই বোঝা যায়।
লাল ঝান্ডা হাতে একটা সময় চষে বেড়িয়েছেন মাঠ-ঘাট। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হলদিয়ার বেতাজ বাদশা হিসেবে। কিন্তু আজ আর সেদিন নেই। চিরদিন যে কারও সময় সমান যা না, তা লক্ষ্মণ শেঠকে দেখলেই বোঝা যায়। আজ তিনি কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়েছেন। তাই তাঁকে গিরগিটি বলতেও কসুর করছেন না বিপক্ষ প্রার্থী তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী।
দিব্যন্দুর সাফ কথা, লক্ষ্মণবাবু রং পাল্টাচ্ছেন প্রতিদিন। লাল পার্টি থেকে গেরুয়া পার্টিতে গিয়েছিলেন। পসার জমাতে পারেননি। এবার ফের তেরঙ্গা ধরেছেন কংগ্রেসের। কিন্তু কী আর হবে, তাঁর যে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তা আজ নিজেও বুঝে গিয়েছেন। লক্ষ্মণ শেঠের গিরগিটির মতোই অবস্থা। রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতাও তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে এতদিনে।
একটা সময় পূর্ব মেদিনীপুরে লক্ষ্মণ শেঠ ও অধিকারীদের লড়াই ছিল কাঠে-খড়ে। কিন্তু বর্তমানে তা একেপেশে হয়ে গিয়েছে। ফলে লক্ষ্মণ শেঠ দলবদলে ফের রাজনীতির ময়দানে ফিরলেও, তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না দিব্যেন্দু। বাকিদেরও তিনি ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না। নিজের জয় নিয়ে দু-শো শতাংশ নিশ্চিত অধিকারী বাড়ির মেজো ছেলে।
শুক্রবার নিমতৌড়িতে এক শিক্ষক সভায় অংশ নিয়েছিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে, সেইসব কাজ সারতে হবে। কাজ কখনও শেষ হয় না। মানুষের চাহিদা, প্রত্যাশার যেমন শেষ হয় না, জনপ্রতিনিধিদের কাজও শে, হয় না। আরও উন্নয়নের বার্তা দেন দিব্যেন্দু।