মমতা ‘ক্যারিশ্মা’য় সিপিএমের ‘রেকর্ড’ তছনছ, ভোট-ইতিহাসে নয়া ‘কীর্তি’ তৃণমূলের
ভোটের আগেই ভোট শেষ করে রেকর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের ‘গর্বে’র রেকর্ডকে ভেঙে তছনছ করে দিয়ে নয়া রেকর্ডের অধিকারী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
ভোটের আগেই ভোট শেষ করে রেকর্ড গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের 'গর্বে'র রেকর্ডকে ভেঙে তছনছ করে দিয়ে নয়া রেকর্ডের অধিকারী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অনুব্রত মণ্ডল, শুভেন্দু অধিকারীদের সৌজন্যে রাজ্যে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৭ শতাংশ আসনে জয়ী হল তৃণমূল। এই পরিসংখ্যান রাজ্যের ভোট-ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারটি জেলা পরিষদ দখল করে নিয়েছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই। ভোটের আগেই ভোট শেষ করে দিয়েছে। জেলার বহু আসনে। পরিসংখ্যান বলছে- তৃণমূল কংগ্রেস এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ১৫,৭৮৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৮,৬৫০ আসনের মধ্যের ১৩,৩০০টিতে বিনা প্রতিদ্ব্ন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯২১৭টি। তার মধ্যে ২৩৬৫টি আসনে ভোটের আগেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর জেলা পরিষদের ৮২৫ আসনের মধ্যে ১২১টিতে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। সাকুল্যে এই কীর্তি স্থাপন করে রেকর্ড গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কেননা এর আগে সিপিএম ২০০৩ সালে ১১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল তৃণমূল। তৃণমূল জয়ী হল ২৭ শতাংশ আসনে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের তিন স্তর মিলিয়ে রাজ্যে মোট আসন সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৬৭। তার মধ্যে ১৫,৭৮৬ আসন ভোটের আগেই তৃণমূলের দখলে।
গণতন্ত্রে বিরোধীরা যে শাসকের আয়না, সেই ধ্রুব সত্যই ভুলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস চালিয়ে মনোনয়ন দিতে দেয়নি বা দিলেও তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলেরই অভিযোগ, এই পরিসংখ্যানই বলে দিয়েছে, রাজ্যে ভোটের নামে কীরূপ প্রহসন চলেছে।
রাজ্যের সরকারি দল তথা শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, রাজ্যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চাননি। সেই কারণেই ওই বিপুল আসনে জয় সম্ভব হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ওইসব জায়গায় বিরোধীদের কোনও ক্ষমতা নেই প্রার্থী দেওয়ার।