তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ালে বহিষ্কার অনিবার্য, হুঁশিয়ারি তিন নেতাকে
নির্দল হয়ে পুরসভা নির্বাচনের লড়লে চটজলদি ব্যবস্থা নেবে দল। রবিবার তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল এই বার্তা।
নির্দল হয়ে পুরসভা নির্বাচনের লড়লে চটজলদি ব্যবস্থা নেবে দল। রবিবার তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল এই বার্তা। তিনজন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী তথা নির্দল হয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো নেতাকে বহিষ্কার হতে হবে বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক এমন কঠোর পদক্ষেপ জারি থাকবে।
১০৮টি পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হলেন দলেরই কোনও পদাধিকারী। জেলায় জেলায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষোভর বশবর্তী হয়ে দলবদল করতেও দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই-ই প্রার্থী হতে চাইছেন। তাই একের বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী দাঁড়িয়ে পড়ছেন। কোথাও মাদান বনাম যুব, কোথাও আদি বনাম নব্য আবার কোথাও বিভিন্ন নেতা-নেত্রী পন্থীরা লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দলকে কঠোর অনুশাসনে বাঁধতে বহিষ্কারের রাস্তা নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
কোচবিহারের ২, ৬ ও ১৬ নম্বরহ ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলেরই পদাধিকারী পা পদাধিকারীর পরিবারের কেউ নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এদিন সেই তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিন বিক্ষুব্ধ নেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা যগি নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে কিংবা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে, তবে তাঁদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, যাঁরা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী পদ না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়াফ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাণদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে যাঁরা নির্দল হয়ে ভোট দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য দলের রাজ্য সভাপতির কাছে পাঠানো হবে। তাঁরা কোন ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছে। কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাঁদের অভিযোগ কী- যাবতীয় তথ্য পরিবেশনের পর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে রাজ্য নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থীরা এককাট্টা। তাঁরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন নাগরিকদের কথায়। নাগরিকরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকে প্রার্থী করার। নাগরিকদের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে মনোনয়বন পেশ করেছেন বলে এক নির্দল প্রার্থী দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে টিকিট না পেয়ে একজন অন্ জনের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। এই সকল বিষয় আমরা গুরুত্ব দিই না।