ভোটের ময়দানে 'ফাউল', হাফটাইমে দিলীপ-শুভেন্দুকে লালকার্ড দেখানোর আবেদন তৃণমূলের
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল, রবিবার বরানগরের সভায় শীতলকুচি নিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছে কী হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' এই মন্তব্যের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। এছাড়া বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনে চিঠি তৃণমূলের
বরানগরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোমবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। দিলীপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির পাশাপাশি পরবর্তী কয়েক ধাপে তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে। চিঠিতে তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দিলীপের এই বক্তব্য সাধারণ ভোটারদের মনে 'ভয়ের স়ঞ্চার করবে'। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
'বিজেপি হিংসা সমর্থন করে'
সেখানে আরও লেখা, 'দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তিনি এই হিংসার ঘটনা সমর্থন করেন। পরবর্তী কয়েক ধাপের নির্বাচনে এমন হিংসার ঘটনা আবারও ঘটবে, তাঁর কথাতে সেই ইঙ্গিতও রয়েছে। পাশাপাশি, সিএপিএফ যদি ভোটদান প্রক্রিয়ার উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে আইন বিরুদ্ধ কাজ করে, তাহলে প্রতিবাদও করতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। আইনের শাসন যে মাটিতে আছে, সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।'
নাম না করে অমিত শাহকেও তোপ তৃণমূলের
এই ঘটনায় শুধু বিজেপির রাজ্য সভাপতি নন, নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘাড়েও দায় চাপিয়েছে তৃণমূল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'দিলীপের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি-র ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিএপিএফ। যিনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি-র একজন তারকা প্রচারক, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্ধনও রয়েছে এই ঘটনায়। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একেবারে পরিপন্থী। এই মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করবে ও ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।'
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া
উল্লেখ্য, গতকাল দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর থেকেই নানা মহল থেকে এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছিল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন সেই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল বিষয়টিকে কোনওভাবে আলোচনার বাইরে সরিয়ে দিতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল।