বাংলায় চতুর্থ দফা থেকে কে কটি আসন পেতে পারে, ৮ কেন্দ্রের সম্ভাবনা একনজরে
চতুর্থ দফায় বাংলায় ৮টি আসনে ভোট হয়েছে। এই আটটি আসনের মধ্যে এবার বিশেষ নজর ছিল অধীরের বহরমপুর আর বাবুলের আসানসোলের দিকই। ত্রিমুখী নির্বাচন ছিল আরও কয়েকটি কেন্দ্রে।
চতুর্থ দফায় বাংলায় ৮টি আসনে ভোট হয়েছে। এই আটটি আসনের মধ্যে এবার বিশেষ নজর ছিল অধীরের বহরমপুর আর বাবুলের আসানসোলের দিকই। ত্রিমুখী নির্বাচন ছিল আরও কয়েকটি কেন্দ্রে। এই চতুর্থ দফার ভোট শেষে কে কটি আসন পেতে পারে, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। চর্চা ছিল বাবুল বা অধীর তাঁদের আসন ধরে রাখতে পারবেন কি না।
২০১৪-য় কে কটি
পশ্চিমবঙ্গের এই ৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০১৪-য় তৃণমূল পেয়েছিল ৬টি, বিজেপি ১টি ও কংগ্রেস ১টি আসনে জয়ী হয়েছিল। বহরমপুর ছিল কংগ্রেসের, আসানসোল বিজেপির, বাকি ৬ আসন অর্থাৎ কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম ও বোলপুরে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল।
সম্ভাব্য ফল ৮ আসনে
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে যে ধারণায় উপনীত হয়েছেন, তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনে প্রকাশ, চারটি আসন নিয়ে সে অর্থে কোনও সংশয় নেই। বর্ধমান-দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব, বোলপুর, বীরভূমে তৃণমূল জয় পেতে পারে। কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটে জোর ত্রিমুখী লড়াই।
অধীরই এগিয়ে
এবার ভোটে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য অধীরকে হারানো। সেই লক্ষ্য নিয়েই নবাব-গড়ে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূল যে এখানে অধীরকে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্তু তিনি অধীর চৌধুরী বলেই এই কেন্দ্রে তাঁকে এগিয়ে রাখছে বিশেষজ্ঞ মহল।
বাবুল-মুনমুন ফিফটি-ফিফটি
আসানসোল কেন্দ্র থেকে গতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার এই কেন্দ্রটি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তৃণমূল এবার এই কেন্দ্রে মুনমুন সেনকে প্রার্থী করে বাজিমাত করার চেষ্টায় নেমেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে মুনমুন দারুন ফাইট দিয়েছেন। বিজেপির জয় তাই অনিশ্চিত এই কেন্দ্রে।