একুশে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর কি তবে উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহলই! চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি
একুশে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর কি উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহল! চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি
২০১৯-এ তৃণমূল কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহলে। উভয়ক্ষেত্রেই রাশ তৃণমূলের আলগা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই। বিশেষ করে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উভয় ক্ষেত্রে তৃণমূল ফোঁপরা হয়ে গিয়েছে। ক্রমেই পোক্ত হয়েছে বিজেপি। কোনও বড় নাম নয়, নিচুতলাকে ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় তৃণমূল হারের মুখে চলে যায়।
বাংলার মসনদে কে বসবে ২০২১-এ?
এখন প্রশ্ন এই দুই ক্ষেত্রই কি ঠিক করে দেবে বাংলার মসনদে কে বসবে? নাকি ২০১৯ থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে তৃণমূল কংগ্রেস? ২০১৯-এর পর থেকে এখন পর্যন্ত এলকায় বিস্তার ঘটাতে কে কতটা সফল হল, তার উপরই নির্ভর করবে ২০২১-এ কার কপাল খুলবে, আর কার পুড়বে।
উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলকে ঘিরে স্বপ্ন
২০১৯-এ বি্জেপি যে ভিতরে ভিতরে অতখানি বিস্তার লাভ করেছিল বুঝতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেশ। ফলে তৃণমূলের ৪২-এ ৪২ আসনের স্বপ্নকে দুরমুশ করে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে সবকটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। তা থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল বিজেপি। তারপর থেকেই তৃণমূল কামব্যাকের আশায় কৌশল রচনা করে চলেছে।
উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে মোক্ষম জবাব
যদিও তৃণমূলের পক্ষে আশার আলো দেখা দিয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পরেই। উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে মোক্ষম জবাব দিয়েছিল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ এবং দক্ষিণবঙ্গের খড়গপুর আসনটিতে লোকসভা ভোটেরি নিরিখে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে থেকেও জয় হাসিল করেছে তারা
রাজ্যের মানুষ রাজনৈতিক পরিবর্তন চাইছেন
এখন বিজেপি টার্গেট করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। আর তৃণমূলের লক্ষ্য ২০১৯-এর নির্বাচনকে ফ্লুকে পরিণত করে ২০২১-এ ফের বিপুল জয় ছিনিয়ে আনা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ভালো ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যের মানুষ রাজনৈতিক পরিবর্তন চাইছেন। তাই জয় আমাদের হবেই।
২৭ আসনের ব্যবধান মুছে দেবে বিজেপি!
দিলীপবাবু বলেন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে আমরা সমস্ত আসনে জিতেছিলাম। লোকসভার নিরিখে আমরা ১২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছি। জয় পরাজয়ের মধ্যে ২৭ আসনের ব্যবধান আমরা মুছে দেব। এই দুই ক্ষেত্রে বিজেপি যদি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে, তবে তৃণমূল শুধু দক্ষিণবঙ্গে জিতে আমাদের আটকাতে পারবে না।
মানুষ যদি ভোট দিতে পারে পরিবর্তন হবেই
বিজেপি মনে করছে, ভোট হলে তৃণমূলের পতন অবশ্যম্ভাবী। পঞ্চায়েত নির্বাচন তেকে যে ট্রাডিশন চলছে ২০১৯-এ তা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০২১-এও মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবে। তবে একটাই আশঙ্কার তৃণমূল ভোট করতে দেবে কি না। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তবে পরিবর্তন হবেই।
উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ
পাল্টা তৃণমূলের যুক্তি লোকসভার ভোট আর বিধানসভার ভোটের ফারাক রয়েছে। তার প্রমাণ দিয়েছে উপনির্বাচন। মাত্র তিনমাসের মধ্যে উল্টো ফল হয়েছে। তারপর মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছে, তারা ফিরে আসছেন তৃণমূলে। ওই উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে এবার কী ফল হয় দেখবেন! বিজেপিকে যোগ্য দেবে মানুষ।
অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ছাড় তৃণমূলকে! সামনে আসা নতুন তথ্যে চাঞ্চল্য, দায় এড়াল ঘাসফুল শিবির