শ্মশানে গিয়ে নাম জোগাড় বিজেপির! মন্ত্রীর দাবিতে পাল্টা দিলেন সায়ন্তন বসু
জিয়াগঞ্জে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিবারের হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরেও এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এদিন রামপুরহাটে শিক্ষকের স্ত্রী বিউটি পালের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
জিয়াগঞ্জে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিবারের হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরেও এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার রামপুরহাটে শিক্ষকের স্ত্রী বিউটি পালের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, রাজ্যের প্রশাসন অস্তাচলে চলে গিয়েছে।
মন্ত্রীর কটাক্ষ
এদিন বিউটি পালের বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মন্ত্রী বলেন, একটা পরিবারের সদস্যরা খুন হয়ে গেল, এখনও পরিবার শোকে মুহ্যমান। সেই বিষয়টিকে নিয়ে ঘৃন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বিজেপির নাম না করে তিনি বলেন, এই পার্টিটার কাজ হচ্ছে, শ্মশানে গিয়ে বসে থেকে, যে মৃতদেহই আসুক না কেন, তার নাম ঠিকানা জোগার করে, নিজেদের কর্মী বলে চালিয়ে দেওয়া।
'জিয়াগঞ্জে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের'
এদিন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, রাজ্যের প্রশাসন অস্তাচলে চলে গিয়েছে। জিয়াগঞ্জ এমন একটি জায়গা, যেখানকার সাধারণ মানুষ থাকতে পারছেন না। তৃণমূল কংগ্রেস আর বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা একসঙ্গে পুলিশের সাহায্য নিয়ে, স্থানীয় মানুষকে ওখান থেকে উৎখাত করছে। যাতে স্থানীয় মানুষ বিজেপি, আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে না পারে।
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ
সায়ন্তন বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিচ্ছেন এরকম যত পারো কর। যাতে বিজেপি কিংবা আরএসএস নয়, তৃণমূল ও দুষ্কৃতীরা দুধেভাতে থাকতে পারে, তার চেষ্টাই মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের লোকের করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সায়ন্তন বসু।
গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ
কী কারণে খুন, ব্যবসায়িক, না ব্যক্তিগত আক্রোশ তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। জট ছাড়াতে এদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা। বাবা, বিজনেস পার্টনার সৌভিক বণিককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি স্বপণ কর্মকার নামে এক গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, শেষবার এই চালকের গাড়িতেই ফিরেছিলেন বন্ধুপ্রকাশ পাল।
[ সাংবাদিকের একটি আরটিআইয়ের জবাবে উত্তর এলো ৩৬০টি]